এদিন নিয়োগ দুর্নীতিই গ্রেফতার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, " গোটা পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্তা দু'ভাবে বিভক্ত। একটা প্রাথমিক একটা উচ্চ প্রাথমিক। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদ নিজস্ব অ্যাক্ট অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের অন্তরভূক্ত। কমিশন নিজস্ব অ্যাক্ট অনুয়াযী তৈরি হয়েছে । এবং তারা ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে থাকে। আমার বিরুদ্ধে ১০০০ পাতার যে চার্জশিট রয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে যে সম্পূর্ণটাই নবম দশম অবং অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত। তাহলে আমি কী করে এখানে এলাম? প্রাথমিক অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের কোনও উল্লেখ নেই। তাহলে আমি কী করে এই মামলায় যুক্ত হলাম? আমি তো কোনওভাবে এর সঙ্গে জড়িত নই! ইডির মতো প্রিমিয়ার তদন্তকারী সংস্থা। তাহলে তারা কী ভাবে আমাকে দায়ী করল?"
advertisement
মানিক ভট্টাচার্য আরও বলেন, "আমি যেদিন গ্রেফতার হই তদন্তকারী সংস্থা একটি চিঠি নিয়ে আসে। কিন্তু সেই চিঠিতে কারও সই ছিল না। মাইলর্ড যেখানে আইন বলছে সই ছাড়া চিঠির আইনি বৈধতা নেই। তাহলে কী করে এই চিঠির ভিত্তিতে আমাকে কাস্টোটিতে নেওয়া হল? চন্দন মণ্ডল বা অন্যরা চাকর দিয়ে থাকলে আমি কী করব? এই চিঠিতে জনৈক চাকরি প্রার্থীর নাম উল্লেখ রয়েছে। যিনি উত্তর দিনাজপুরের। চিঠিটি অ্যাড্রেস করা ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই চিঠি দেখিয়ে কী করে আমাকে কাস্টোডিতে নেওয়া হল আমি বুঝতে পারছি না। আমি আইনের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ছিলাম। ল এতদিন পড়েছি। কিন্তু ইডি হেফাজতে আসার পর থেকে আমি আইন ভুলতেই বসেছি। এই দেশে কী গণতন্ত্র নেই। এটা কী পুলিশ স্টেট হয়েছে গিয়েছে? মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই? এ তো সিনেমাতে হয়। রোজ আসছি।"