হাওড়ায় এদিন মমতা বলেন, ‘যোগ্যশ্রীর পরিকল্পনা করেছি। রাজ্যে ৫১ সেন্টার এমন হবে। যারা আইএএস, আইপিএস, ডাক্তার হতে চায়, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এখন এসটি’দের জন্য চলছে। মুখ্যসচিবকে বলব জেনারেল কাস্টের জন্য এগুলো করে দিতে।’ জানুয়ারিতেই স্টুডেন্টস ইন্টার্নশিপ স্কিম চালু হয়েছে। ছোট থেকেই সরকারি কাজে প্রশিক্ষণ দিতে এই উদ্যোগ। ২৫০০ ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হবে সুযোগ। তাদের যোগ্যতা বিচার করে চাকরি রিনিউ হতে পারে। ইন্টার্নশিপে ১০ হাজার করে পাবেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সব বয়সের মানুষের হাঁটার পরিমাণ কি সমান? যত খুশি হাঁটলে উল্টে শরীরের ক্ষতি! জানুন
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, গত দু’বছরে ২০৮৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ২২৫৪ জন টেকনিক্যাল কোর্সে, ৮ জন IIT-তে, ১৪জন NIT-তে, ৩৪ জন MBBS কোর্সে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর থেকেই রাজ্যজুড়ে তপশিলি জাতি ও আদিবাসী পড়ুয়ারা যোগ্যশ্রী প্রকল্পে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। সেখানে বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রবেশিকা পরীক্ষা, ব্যাঙ্ক, রেল, পোস্ট অফিস, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ, সরকারি বিভিন্ন সংস্থায় গ্রুপ B, C এবং D পদের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের জন্য ৩০০ ঘণ্টার এবং ছ’মাসের এই কোর্সের জন্য ৪ ঘণ্টা করে সপ্তাহে তিনদিন ক্লাসের ব্যবস্থা থাকবে।
আরও পড়ুন: দোকান থেকে কিনে কিশমিস খাচ্ছেন না কি মুনাক্কা? ঠকছেন না তো? জানুন কোনটি উপকারী
মমতা আরও বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। তাই আমাদের টাকা দেওয়া হল না। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। তাই টাকা দেওয়া বন্ধ। আমাকে সংসার চালাতে হয়। আমি আমার প্রাপ্য টাকা পায়নি। মা ভাই বোনেরা যেমন ভাবে সংসার চালান আমিও সেই ভাবে চলাই। কোনও মা ভাই বোনকে বঞ্চিত হতে দেব না। আমার জন্ম হয়েছে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে। আমার মৃত্যু হবে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে।’
আবীর ঘোষাল