সবার আগে এটা জানিয়ে রাখা ভাল যে ইনফোসিস তার কর্মীদের জন্য সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টার কর্মসূচি নিয়ে আসছে না। এই অভিমত একান্তই এনআর নারায়ণমূর্তির। সম্প্রতি তিনি হাজির ছিলেন 3one4 Capital-এর পডকাস্ট The Record-এর প্রথম পর্বে, সেখানেই নানা বিষয় নিয়ে নিজের মনের কথা খুলে বলেছেন তিনি। উঠে এসেছে দেশগঠন, প্রযুক্তি, তাঁর নিজের সংস্থা এবং আরও অনেক বিষয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঠিক কোন সময় লক্ষ্মীপুজো করলে ধনসম্পদ লাভ হবে? পঞ্জিকা মতে পুজোর শুভ সময় জানুন
ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও মোহনদাস পাইয়ের সঙ্গে কথোপকথনকালে দ্বিধাহীনভাবে জানিয়েছেন নারায়ণমূর্তি- আমাদের দেশের উৎপাদনশীলতা রয়েছে বিশ্বে একেবারে শেষের সারিতে। এই অবস্থায় চিনের মতো দেশের সঙ্গে যদি পাল্লা দিতেই হয়, তাহলে দেশের তরুণ প্রজন্মের কাজের জন্য আরও সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি, উদাহরণ দিয়ে ব্যাপারটা স্পষ্টও করেছেন তিনি, বলছেন ঠিক যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে করেছিল জাপান আর জার্মানি।
আরও পড়ুন: সহজ এই অভ্যেসগুলি আপনার আয়ু বাড়াতে পারে ২০ বছর, চাঞ্চল্যকর দাবি গবেষণায়
একই সঙ্গে দেশের নানা স্তরে দুর্নীতি এবং কূটনৈতিক বিলম্বের দিকেও তর্জনী তুলেছেন তিনি। “ভারতের কাজের উৎপাদনশীলতা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম। যতক্ষণ না আমরা আমাদের কাজের উৎপাদনশীলতা উন্নত করছি, যতক্ষণ না আমরা কোনও স্তরে সরকারের দুর্নীতি কমাচ্ছি না, নানা জায়গায় এই বিষয়ে পড়ছি আমি, এর সত্যতা জানি না, যতক্ষণ না আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আমলাতন্ত্রের বিলম্ব কমাতে পারি না, ততক্ষণ আমরা উন্নত হব না। যে দেশগুলো অসাধারণ উন্নতি করেছে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম হব না”, বলছেন নারায়ণমূর্তি।
৭৭ বছরেও অক্লান্ত পরিশ্রমী ইনফোসিস কর্তার তাই দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুরোধ, তাঁরা নিজেরাই বলুন যে এটা আমার দেশ, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করব। কেন এি অভিমত, সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। বলেছেন দেশের জনসংখ্যায় তরুণ প্রজন্মের সংখ্যা সর্বাধিক। অতএব, তাঁরা যদি উদ্যোগী না হন, কর্মসংস্কৃতি যদি নিষ্ঠা আর শ্রমের দিকে চালিত না হয়, তাহলে সদিচ্ছা থাকলেও সরকার কিছু করে উঠতে পারবে না। “আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে হবে এবং আমাদের কাজের উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে হবে। তা না করলে একা সরকার কী করবে”, বলছেন তিনি।
তবে, এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২০ সালে সপ্তাহে ৬০ ঘণ্টা কাজের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন নারায়ণমূর্তি। অতিমারী পরবর্তী অর্থনীতি একমাত্র এভাবেই পুনরুজ্জীবিত হবে বলে দাবি ছিল তাঁর।