লিপিকা সাধুখাঁ মামলায় আজ এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন,৩১ জানুয়ারি মধ্যে গ্রুপ ডি বিকৃত ৪৪৮৭ টি ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। লক্ষ্মী টুংগা মামলায় ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি এই মামলাতেই গ্রুপ ডি বেআইনি নিয়োগ রহস্যের আর্থিক লেনদেন খুঁজে বার করতে ED ( Enforcement Directorate) কে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! আবাসে অনুমোদনের সময়সীমা বাড়াল কেন্দ্র! কবে পর্যন্ত মিলবে বাড়ি? জানুন
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, "পড়ুয়াদের কথা না ভেবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে, আবার আদালতে এসে এত কথা বলছে। এই গ্রুপ ডি চাকরি প্রাপকদের জন্য আমি কোনও সহানুভূতি দেখাতে পারব না।"
এসএসসি আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতির, "সব অবৈধ চাকরি প্রাপককে সরিয়ে দিলে কত দ্রুত সেই শূন্যপদে নিয়োগ সম্ভব? এদের সরাতে কেন নিজেরাই উদ্যোগী হচ্ছে না এসএসসি?" লক্ষ্মী টুংগা মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জানান, ইতিমধ্যেই বিকৃত OMR শিট এর সিবিআই রিপোর্টের সত্যতা সামনে এসেছে। আদালতের নির্দেশে বৈঠক হয় সেখানেই এসএসসি মেনে নিয়েছে ১০০ ওএমআর বিকৃতি তথ্য। এরও আগে সঞ্জীব মাইতি মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সিবিআই-এর কাছে রিপোর্ট চায় গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে। নিয়ম ভেঙে নিয়োগ হলে প্যানেল বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন তখন বিচারপতি বসু।
আরও পড়ুন: আপেল ভাল না খারাপ? পড়ুয়াদের সামনেই যা করে বসলেন দুই স্কুল শিক্ষক... চক্ষু চড়কগাছ!
গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থী সঞ্জীব মাইতির আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, "বিকৃত OMR শিট নিয়ে দুই বিচারপতি কড়া অবস্থান দেখিয়েছে। সন্দীপ প্রসাদের মামলায় প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগে'র সুপারিশ এই মামলার অন্যতম প্রামাণ্য নথি। ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।"