পর্ষদ সূত্রের খবর, প্রার্থীদের তরফে দেওয়া টেটের নম্বরের সঙ্গে সার্ভারে থাকা টেটের প্রাপ্ত নম্বরের মিল রয়েছে নাকি ফারাক রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সাম্প্রতিক সময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি, সিবিআই মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির তদন্তে টেটের নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। তাই এবার প্রার্থীদের তরফে দেওয়া টেটের নম্বরের সঙ্গে সার্ভারে থাকা নম্বরের মিল রয়েছে নাকি তা আগেভাগেই খতিয়ে দেখছে পর্ষদ। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের তরফে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি ও গঠন করা হয়েছে। এরই সঙ্গে প্রার্থীদের তরফে বিভিন্ন যে ট্রেনিং সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছে তা বৈধ নাকি নকল তাও যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পর্ষদ। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের জমা দেওয়া সার্টিফিকেট বা রেজাল্ট নিয়ে কোনও সন্দেহ হলে পর্ষদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের থেকেও সেই প্রার্থী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে নিচ্ছে।
advertisement
একাংশের মতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে যে মনোভাব পর্ষদ সম্পর্কে তৈরি হয়েছে সেই ভাবনাকে বদল করার জন্য এবার প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশের আগে একাধিক পদক্ষেপ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, “গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হলেই আমরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করব। প্যানেল বা মেধা তালিকা নিয়ে যাতে কোনওরকম অভিযোগ না ওঠে তার জন্য সব রকমের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফেও উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। পর্ষদের আধিকারিকদের দাবি প্যানেল তালিকাপ্রকাশের পর যাতে এই অভিযোগ গুলি না ওঠে তার জন্য আগেভাগেই পদক্ষেপ করতে চাইছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ হতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে অগাস্ট মাসের মধ্যে প্যানেল বা মেধাতালিকা প্রকাশ করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়