সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে আউট করেছেন এনরিচ নোর্জে। যে বলে তিনি ওয়ার্নারকে আউট করলেন তার গতি নিয়েও এখন চারিদিকে আলোচনা চলছে। হায়দরাবাদের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তৃতীয় বল ১৫১.৭১ কিমি প্রতি ঘন্টা স্পিডে করেছিলেন। এটাই চলতি মরসুমে আইপিএলের এখনো পর্যন্ত সব থেকে জোরে ডেলিভারি।
আরও পড়ুন- Sehwag on Ashwin : অশ্বিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যাপক চটেছেন সেহওয়াগ
advertisement
এনরিচ তাঁর প্রথম দুটি ওভারের তিনটি ডেলিভারি দেড়শো কিমি প্রতি ঘন্টার গতিতে করেছিলেন। এমন গতি দেখে অনেকেই অবাক। তাঁর এমন গতির বোলিংয়ের সামনে অসহায় দেখাচ্ছিল ওয়ার্নারকে। এমনকী নর্জের প্রচন্ড গতির ডেলিভারিতেই ক্রিকেট ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে ব্যাটসম্যান। ওয়ার্নার ক্রিজে আসার পরই একের পর এক গুড লেন্থ ডেলিভারি করছিলেন নর্জে। ১৪৭ কিমি প্রতি ঘন্টা স্পিডে একটি ডেলিভারি করেন নর্জে। সেই ডেলিভারি বুঝতে পারেননি ওয়ার্নার। স্কোয়ার লেগে শট খেলতে গিয়ে বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায়। বল হাওয়ায় উঠে পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডার অক্ষর প্যাটেলের হাতে ক্যাচ হয়ে পড়ে।
এনরিক নর্জে এদিন প্রথম প্রভার থেকেই যেন রকেট ছুঁড়ছিলেন। তিনি দুটি ডেলিভারি করেছিলেন ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টারও বেশি গতিতে। এর পর আরও তিনটি ডেলিভারি করেছিলেন ১৪৮ ও ১৪৯ কিমি প্রতি ঘন্টা গতিতে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক পেসার কাগিসো রাবাডা আইপিএলে সবথেকে জোরে বল করেছিলেন। ১৪৮.৭৩ কিমি প্রতি ঘন্টা স্পিডে। তবে সেটা ছিল চলতি আইপিএলের প্রথম পর্বে। দ্বিতীয় পর্বে এখনো পর্যন্ত নর্জের এই ডেলিভারি সবথেকে বেশি গতির। এদিন দিল্লির শক্তিশালী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং লাইন। মাত্র ১৩৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। ১৭.৫ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।