প্রথমদিকে নিজের স্বাভাবিক ছন্দ খোঁজে না পেলেও, পরের দিকে কিছু আক্রমনাত্মক শট খেলতে দেখা যায় তাঁকে। মহম্মদ শামির ১৯ নম্বর ওভারে পরপর চার ও ছয় মেরে ম্যাচ জেতান হার্দিক, অপরাজিত থাকেন ৩০ বলে ৪০ রানে। কি করে হঠাৎ এমনভাবে ম্যাচের মাঝে পরিবর্তন ঘটল হার্দিকের ? সেই রহস্য নিজেই ভেদ করে মহম্মদ শামিকে কৃতিত্ব দিলেন মুম্বইয়ের তারকা অলরাউন্ডার। শামির বাউন্সার তাঁর গায়ে লাগার পরই না কি তিনি চাঙ্গা হয়ে উঠেছিলেন বলে দাবি হার্দিকের।
advertisement
আরও পড়ুন - Rupinder Pal retires : জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেন হকির রুপিন্দের পাল সিং
ম্যাচের পর iplt20.com-এ সতীর্থ নাথান কুল্টার নাইলের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেন, ‘আমি এর (নিজের ইনিংসের) জন্য শামিকেও কৃতিত্ব দেব। আমি পোলার্ডকে বলছিলামই যে ওর বল গায়ে লাগার পরই আমি আরও সজাগ হই এবং আমার জন্য সবটা বদলে যায়। তার আগে অবধি আমার একটু অসুবিধাই হচ্ছিল।’ তিনি অতীতে কি হয়েছে না হেয়েছে সেইসব দিকে আর নজর দেন না। প্রতিদিনই তাঁর কাছে নতুন সুযোগেরই সমান। ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি একটু বুঝেছি যে প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি সুযোগ নতুনভাবে নায়ক হয়ে দলকে জেতানোর একটা সুযোগ। অতীতে কি হয়েছে তা আমি ভুলে যাই এবং সেই মুহূর্তে নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করি।’ জানান হার্দিক।
তবে ব্যাট করলেও, এখনও বল হাতে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। আসলে সূত্রের খবর একমাস পরেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে হার্দিক পান্ডিয়া ভারতের অন্যতম শক্তি। অলরাউন্ডার হার্দিককে প্রয়োজন ভারতের। তাই মুম্বই ফ্র্যাঞ্চাইজি হার্দিককে বল করতে খুব একটা চাপ দিতে রাজি নয়।
বিশ্বকাপে অবশ্য হার্দিকের দু, তিন ওভার প্রয়োজন হবে ভারতের। তাই কোমড়ের চোট এখনই বল করতে গিয়ে বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। কারণ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট জানে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে হার্দিক বিশাল ভূমিকা পালন করবেন। তিনি দলের প্রধান বিগ হিটার। তাই আইপিএলে বুঝেশুনে ব্যবহার করা হচ্ছে বরোদা
বোম্বারকে।