এরপর বল টেম্পারিং করে ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হন। হায়দরাবাদের নেতৃত্বভার পান কেন উইলিয়ামসন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ওয়ার্নার ফিরলে আবারও তাকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু চলতি আইপিএলের ভারত পর্বে দল ৬ ম্যাচের ৫টিতে হারায় আবারও ওয়ার্নারকে সরিয়ে অধিনায়ক করা হয় উইলিয়ামসনকে। বারবার অধিনায়ক বদলালেও দলের পারফর্মেন্সে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আরও পড়ুন - Rohit Sharma on Mumbai loss : আশা হারাতে রাজি নন রোহিত শর্মা
advertisement
গুঞ্জন চলছে যে, প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের বিরোধের কারণেই কি দলের এই হাল? সুনীল গাভাসকার এবং কেভিন পিটারসেন মনে করেন, অধিনায়ক বদলের এই ঘটনা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ওয়ার্নারকে শুধু অধিনায়কত্ব থেকেই নয়, একাদশ থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল! এ ব্যাপারে গাভাসকার বলেন, 'প্রাক্তন অধিনায়ক অবশ্যই মাঠে নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবে। নাহলে বাদ পড়তেই হবে।'
অন্যদিকে পিটারসেন বলেন, 'ওয়ার্নার এবং উইলিয়ামসন সম্পূর্ণ আলাদা। বিপরীতধর্মী মানুষ একে অপরের কাছাকাছি আসে? তবে আমি জানি না তাদের মাঝে কোনো বিরোধ আছে কিনা। জানি না, কীভাবে ওয়ার্নারকে দল থেকে বাদ দেওয়া হলো বা কী বলা হয়েছিল সেই সময়। অধিনায়কত্ব থেকে বাদ দেওয়া অনেক বড় ব্যাপার। এটা খুবই খারাপ হয়েছে। আমি জানি না কী হয়েছে, তবে একটা জিনিস বলতে পারি, ওয়ার্নার রানের জন্য ছুটবে। এতে দলেরই লাভ হবে।'
প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে জঘন্য ভাবে হেরেছে সানরাইজার্স। ওয়ার্নার রান করতে পারেন। উইলিয়ামসন আউট হয়েছেন ১৮ রান করে। দলের অন্যতম বিদেশি ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো নেই। তাই কিছুটা হলেও ব্যাটিংয়ে শক্তি কমে গেছে হায়দরাবাদের। বল হাতে সেরা ভরসা রশিদ খান। কিন্তু নিজের সেরা ছন্দে দেখা যায়নি আফগান স্পিনারকে।
এমনিতেও টেবিলের নিচের দিকে থাকা দল সানরাইজার্স। ওয়ার্নার বনাম উইলিয়ামসন বিবাদ না মিটলে আরও হতাশা অপেক্ষা করে আছে তাদের সমর্থকদের জন্য। এমনিতে শোনা যাচ্ছে পরের বার আর এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলতে দেখা যাবে না ডেভিড ওয়ার্নারকে। শুধু চুক্তি আছে বলে এই দ্বিতীয় পর্যায়ে খেলতে এসেছেন তিনি। তবে সুনীল গাভাসকার, কেভিন পিটারসেন মনে করেন ওয়ার্নার দল ছাড়লে, তার যোগ্য পরিবর্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে সানরাইজার্স দলের পক্ষে।