আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী করে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখা হয়, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ৩ মে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আরসিবির বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল কেকেআর। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচ বাতিল হয়। ম্যাচের আগেই নাইট শিবিরের দুজন ক্রিকেটার সন্দীপ ওয়ারিয়র ও বরুণ চক্রবর্তী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে জানা যায় আরসিবির তরফে জানানো হয়েছিল, তাদের দল ওই ম্যাচ খেলবে না। এর পরই আইপিএল আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেই সময়ে এই ভিডিওটি তোলা হয়েছিল বলে মনে করছেন অনেকে। মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেকেআরের কনভয়ের জন্য আটকে রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। নাইটদের দুটি বাস ঘিরে রেখেছে একাধিক পুলিশের গাড়ি। সেই কনভয় টপকে যেতে পারছিল না অ্যাম্বুল্যান্স। ইতিমধ্যে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর তার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
advertisement
অতিমারির পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখা হয় কোন যুক্তিতে! এই নিয়ে যাবতীয় সমালোচনা শুরু হয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশে। নাজেহাল অবস্থা দেশের মানুষের। বহু রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। এমন অবস্থায় ক্রিকেট দলের কনভয়ের জন্য অ্যাম্বুলযান্স আটকে রাখা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। আগে কেকেআরের কনভয় নাকি আগে অ্যাম্বুলেন্স! এমন পরিস্থিতিতে কোনটার আগে যাওয়া জরুরি, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বহু মানুষ। যদিও পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে তা আসল নয়। আহমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ময়ঙ্ক সিং জানিয়েছেন, সত্যিই কেকেআরের কনভয়ের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। তবে তাঁর দাবি, ভিআইপি কনভয় থাকলেও কখনো অ্যাম্বুল্যান্স আটকে রাখা হয় না। আটকানো হয় না শববাহী যানও।