ট্রাম্প বাইডেনকে ‘বেশ করুণ’ বলে খোঁচাও দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন যিনি দুটি বাক্য একসঙ্গে বলতে পারেন না! যিনি মঞ্চ থেকে সিঁড়ি খুঁজে পান না, যিনি জানেন না তিনি কী করছেন!’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হলে তারা (ইরান) ইজরায়েলকে আক্রমণ করত না। আমি থাকতে তারা কখনই তা করেনি। কারণ ইরান আক্রমণ করার মতো অবস্থানে ছিল না। তাদের কাছে কোনও টাকা ছিল না। তারা ভেঙে পড়েছিল।’ ট্রাম্পের সংযোজন, ‘ইজরায়েলের সঙ্গে যা চলছে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।’
advertisement
আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?
প্রসঙ্গত, একদিকে জটিল রূপ নিয়েছে ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ। হামাসকে শেষ করতে ইজরায়েল যেভাবে গাজা ও প্যালেস্তাইনের উপরে হামলা চালিয়েছে, তার রেশ পড়শি ইরানের উপরেও পড়েছে। সম্প্রতিই সিরিয়ায় ইরানের দামাস্কাসের দূতাবাসে হামলার পরই চরম বার্তা দিয়েছিল ইরান। যে কোনও সময়েই তারা ইজরায়েলের উপরে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এই “যুদ্ধ লাগবে” পরিস্থিতির মাঝেই আবার গাজায় হামলা ইজরায়েলের। শুক্রবার রাতে ফের গাজা স্ট্রিপে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে ইজরায়েল। নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করাই হচ্ছিল। সেই অপেক্ষা শেষ করে এবার আসরে নামল ইরান।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব
গত কয়েকদিন ধরেই ইরান এবং ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। এই উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে হামলা না করার জন্য সতর্কবাণী দিয়েছিল। সারা বিশ্ব এটি নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই ইস্যুতে কিছুদিন ধরেই গোটা বিশ্বে উত্তপ্ত অবস্থা ছিল। বিশেষ করে গাজায় ইজরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তারও আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পৃথিবীতে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে ফেলেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সমর্থন ইজরায়েলের প্রতি ছিল তা এখন আগের চেয়ে নমনীয় হয়ে উঠেছে। এবার ইরান এবং ইজরায়েল ইস্যুতেও পুরো বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
ইতোমধ্যে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিরিয়ার দামেস্কাসে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে ইজরায়েলি হামলার প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়েছে। আর এরকম প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে, তা হল একটি বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন হয়ে উঠেছে?