বিশ্বব্যাঙ্কের এই ত্রাণ প্রকল্পে বিশ্বের ২৫টি দেশকে সাহায্য করতে মোট খরচ করা হচ্ছে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও বিশেষভাবে চল্লিশটি দেশকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই দ্রুততর করার জন্য আলাদা করে সাহায্য করা হবে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য পাচ্ছে ভারত। বিশ্বব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, ভারতকে এক বিলিয়ন ডলার দিয়ে সাহায্য করা হবে। মূলত, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের নির্দিষ্ট করতে অপেক্ষাকৃত উন্নততর পরীক্ষা, এটি ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ছে কিনা তা দেখা, গবেষণাগারে চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নতি ও চিকিৎসাকর্মীদের হাতে পিপিই কিট পৌঁছে দেওয়ার কাজে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে। এছাড়াও এই অর্থ দিয়ে ভারত নতুন করে অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি করতে পারবে।
advertisement
দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাঙ্ক পাকিস্তানকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আফগানিস্তানকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, মালদ্বীপকে ৭.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শ্রীলঙ্কাকে ১২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে। আগামী দিনে ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। যে অর্থ দিয়ে করোনা বিরুদ্ধে লড়াই করবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। তারপর ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করবে তারা।
দারিদ্র, অর্থনৈতিক দুরবস্থা, গনপারিবারিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং পরিবেশ, এই সমস্ত বিষয়গুলি বিশ্বব্যাঙ্কের এই অর্থ সাহায্যের মূল কেন্দ্রে রয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক আপাতত মাথায় রাখতে চেয়েছে, কীভাবে এই অতিমারীর প্রকোপ কাটানো যায়। ব্যাঙ্কের স্বাস্থ্যবিষয়ক দল পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশে কাজ করছে। বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস জানিয়েছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে উন্নততর দেশগুলির লড়াইকে মজবুত করতে এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতির স্বার্থে বিশ্বব্যাঙ্ক কাজ করে চলেছে। গরীব ও অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া দেশগুলি করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই কারণেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ যাতে এর বিরুদ্ধে সহজে লড়াই করতে পারে তাই অঞ্চল ভিত্তিক সাহায্য এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক দল পৌঁছে দেওয়ার কাজ বিশ্বব্যাঙ্ক করতে। থাকবে বর্তমান সংকট থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসবে সংস্থা।’