নিহত শিবাঙ্ক অবাস্থি টরন্টোর স্কারবরো এলাকায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর ছাত্র ছিলেন। অন্যদিকে, হিমাংশী খুরানা ছিলেন টরন্টোভিত্তিক এক ভারতীয় ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর। কানাডার পুলিশ দুটি ঘটনাকেই খুনের মামলা হিসেবে তদন্ত করছে।
advertisement
শিবাঙ্ক অবাস্থি, বয়স মাত্র ২০ বছর, চলতি সপ্তাহে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কারবরো ক্যাম্পাসের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। টরন্টো পুলিশ জানায়, ২৩ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাইল্যান্ড ক্রিক ট্রেল ও ওল্ড কিংস্টন রোড সংলগ্ন এলাকায় একটি জঙ্গলের ধারে এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখার খবর আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিবাঙ্ককে উদ্ধার করে, তবে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খুনের মামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং পুলিশ পৌঁছনোর আগেই সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও বর্ণনা প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবাঙ্ক ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কারবরোর তৃতীয় বর্ষের লাইফ সায়েন্সেসের ছাত্র ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিয়ারলিডিং টিমেরও সদস্য ছিলেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টিমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি ছিলেন একজন সহযোগী সতীর্থ, যিনি সকলের মুখে হাসি ফোটাতেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ‘শেল্টার-ইন-প্লেস’ নির্দেশ জারি করেছিল। যদিও পরে পুলিশ জানায়, এলাকায় কোনও সক্রিয় বন্দুকবাজের আশঙ্কা নেই এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার মধ্যে সেই নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলটি জঙ্গলের মধ্যে হওয়ায় সেখানে নিরাপত্তা ক্যামেরা না থাকায় তদন্তে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে প্রমাণ সংগ্রহের কাজ চলছে। টরন্টোয় ভারতের কনসুলেট শিবাঙ্কের মৃত্যুকে ‘গভীর দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে জানিয়েছে, তারা মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, পৃথক এক ঘটনায় টরন্টোয় খুন হয়েছেন হিমাংশী খুরানা। বয়স ৩০ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর খোঁজ চলছিল। পরে একটি আবাসনের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাটিও খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
