গুপ্তচর আর জঙ্গিদের জগতে তিনি চলমান অশরীরি । প্রাচীন অরণ্যের প্রবাদের মতোই, মেজর জেনারেল কাসেম সুলেইমানি হাওয়ায় মিশে যেতেন । এই তাঁকে দেখা গেল ইরাকের টিকরিতে । ইসলামিক স্টেটের হাত থেকে ওই ইরাকি শহরকে কীভাবে পুনর্দখল করা যায়, তার রণকৌশল সাজাতে । পরক্ষণেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বশর অল আসাদের রাজপ্রাসাদে গোপন বৈঠক করছেন সুলেমানি । সরকারি বাসভবন তেহরানে । কিন্তু লেবানন থেকে ইয়েমেন,গাজা স্ট্রিপ থেকে বাগদাদ, সর্বত্র ছড়িয়ে সুলেমানির নেটওয়ার্ক ।
advertisement
কে এই সুলেমানি
--ইরানের কুদস বাহিনীর দায়িত্বে কাসেম সুলেমানি
--কাসেম সুলেইমানি ইরানের অঘোষিত বিদেশমন্ত্রী
--ইরাক,সিরিয়া,জেরুসালেম,ইয়েমেনে সুলেমানির নেটওয়ার্ক
--সুলেমানির নেটওয়ার্কে গুপ্তচর,জঙ্গি,সরকারি কর্তারা
--তাঁর মাধ্যমেই ইরানের প্রভাব বাড়ছিল পশ্চিম এশিয়ায়
অনেকদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গলার কাঁটা মেজর জেনারেল কাসেম সুলেইমানি । সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বশর অল আসাদের মুখ্য উপদেষ্টা সুলেইমানি । সুলেমানির ভাড়াটে যোদ্ধাদের মদতেই বিদ্রোহীদের ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে আসাদের বাহিনী । ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধেও সক্রিয় সুলেইমানি । তাঁর পরিকল্পনাতেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা । ইরাকেও সুলেইমানির নেটওয়ার্ক শক্তি বাড়াচ্ছে । বাগদাদে সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাসকে ঘিরে যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার নেপথ্য নায়ক সুলেইমানি ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির থেকে প্রভাবশালী ছিলেন কাসেম সুলেইমানি । দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা খামেনেইকে সরাসরি রিপোর্ট দিতেন সুলেইমানি। পরমাণু কর্মসূচিকে ঘিরে বহুদিন ধরেই তিক্ত আমেরিকা এবং ইরানের সম্পর্ক । কিন্তু তারপরও পশ্চিম এশিয়ায় তেহরানের প্রভাব যেভাবে বাড়ছে তাতে শঙ্কিত ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন । কাসেম সুলেমানিকে খতম করে আসলে ইরানের নেতৃত্বকেই কড়া বার্তা দিল আমেরিকা । প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে ইরানও । দুই রাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে অস্থিরতার মেঘ ।