এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল চিনে পৌঁছেছিল করোনার উৎস সন্ধানে। প্রথমে তাঁদের চিনে ঢুকতে বাধা দেয় সেখানকার সরকার। তবে শেষমেষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সেই দলটি ওখানে পৌঁছে করোনার উৎস সম্পর্কে জানতে গবেষণা শুরু করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এবার দাবি করা হয়েছে, উহানের ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়ায়নি। বরং কোনও পশুর শরীর থেকেই মানুষের দেহে ছড়িয়েছে। হু-র গবেষকরা জানিয়েছেন, বাদুড় জাতীয় কোনও প্রাণীর শরীর থেকে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল। তবে এই ব্যাপারে পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি তারা। আরও গবেষণা চলবে বলে জানা যাচ্ছে। ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমনই জানিয়েছে হু। আর তাই করোনার উৎস সন্ধানে এবার বাকি সব রকম সম্ভাবনার দিক খতিয়ে দেখবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল।
advertisement
আসলে উহানে পৌঁছানোর পর রিপোর্ট পেশ করতে বেশ কিছুটা সময় নিচ্ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই দাবি করেছিলেন, সেই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের প্রভাবিত করছে চিনের প্রশাসন। তাই সত্যিটা উঠে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। অনেকে বলেছিলেন, করোনা মহামারীর জন্য একশো শতাংশ দায়ি চিন। সেখানকার ল্যাবেই কৃত্রিমভাবে এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে, যা দুর্ঘটনাবশত ছড়িয়ে পড়ে। আর এই তত্ত্ব লুকানোর জন্য চিন সবরকম চেষ্টা করেছে বলেও দাবি করেছিলন অনেকেই।