১ বছর আগে জনকে বিয়ে করেন ১৯ বছর বয়সি ভায়োলেট। তাঁরা ঠিক করেছিলেন বিয়ে করলেও এখনই পরিবার পরিকল্পনা করবেন না। সেইমতো ভায়োলেটের শরীরে স্থাপন করা হয়েছিল আইইউডি বা ইনট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস। এই জন্ম নিরোধক জরায়ুতে স্থাপন করার পরও কী করে অন্তঃসত্ত্বা হলেন-সেটা ভেবেই দিশেহারা ভায়োলেট।
গত সপ্তাহে জন্ম হয়েছে জন ও ভায়োলেটের ছেলে রুডির। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সদ্যোজাত রুডির হাতে ধরা রয়েছে আইইউডি বা ইনট্রা ইউটেরাইন ডিভাইস, যেটি স্থাপন করা হয়েছিল তার মায়ের জরায়ুতে। ছেলের জন্মের কিছু ক্ষণ পরই তার ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন ভায়োলেট। ইতিমধ্যেই সেটি ২২.৮ মিলিয়ন ভিউজ পেয়েছে। ছবিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে নবজাতকের হাতে ধরা রয়েছে তার মায়ের জঠরের আইইউডি। ভায়োলেট জানিয়েছেন তাঁর মতো হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরাও হতবাক এই দৃশ্যে।
advertisement
আরও পড়ুন : বর কনে দুজনেরই উচ্চতা ৩ ফুট, ভাইরাল নবদম্পতিকে ভালবাসায় ভরিয়ে দিল নেটমাধ্যম
প্রসঙ্গত আধুনিক জন্ম নিয়ন্ত্রকের ক্ষেত্রে আইইউডি-কে খুবই কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হয়। শতকরা ৯৯ ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সফল হয়। বিশেষজ্ঞদের মত, যদি কোনওভাবে এটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে সরে যায়, তাহলেই প্রেগন্যান্সি আসতে পারে। যদি সেই ঘটনা হয়, তাহলে অন্তঃসত্ত্বা পর্বের প্রথম দিকেই জরায়ু থেকে এই জন্ম নিরোধক সরিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া আইইউডি-র ক্ষেত্রে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি বা মিসক্যারেজও হতে পারে।
যদিও ভায়োলেটের দাবি, তাঁর ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রক নির্দিষ্ট স্থানেই ছিল। তার পরও তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় অবাক হয়ে যান। শরীরে সন্তানধারণের লক্ষণ দেখা দিতেই তিনি পর পর ৬ টি পরীক্ষা করান। তার পর তাঁকে বিশ্বাস করতেই হয় যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা। তবে যেভাবেই এই মিরাক্যল ঘটুক না কেন, সন্তানকে স্বাগত জানিয়েছেন এই নবীন দম্পতি।