মুক্তির পরেই কাঠমান্ডু থেকে দোহাগামী একটি বিমান ধরেন শোভরাজ। দোহা থেকে অন্য় বিমানে প্য়ারিস উড়ে যাওয়ার কথা তাঁর।
আরও পড়ুন: কাঠমান্ডুর কুরশিতে ফের ফিরলেন 'প্রচণ্ড', এই নিয়ে তৃতীয়বার
তথ্য় বলছে, ১৯৭০-এর দশকে চার্লস শোভরাজের বিরুদ্ধে অন্তত কুড়িটি খুনের অভিযোগ রয়েছে। মূলত তাঁর টার্গেট হতেন বিদেশী পর্যটকরা। নেপাল থেকে প্য়ারিস ফেরার পথে বিমানের ভিতরে চার্লস শোভরাজের একটি ছবিই সম্প্রতি সমধ্য়মে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তার মূল কারণ অবশ্য় শোভরাজের পাশের আসনে বসে থাকা সহযাত্রী এক মহিলা।
advertisement
আরও পড়ুন: তুষার ঝড়ে বিধ্বস্ত আমেরিকা, বড়দিনে হুহু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
চার্লস শোভরাজের মতো একজন কুখ্য়াত খুনি তাঁর পাশে বসে রয়েছেন, একথা ভেবেই যেন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই মহিলা যাত্রী। সেই আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে ওই মহিলার চোখেমুখে।
শোভরাজের সহযাত্রী মহিলার প্রতিক্রিয়া দেখে একের পর এক মন্তব্য় করেছেন নেট ব্য়বহারকারীরা। তাঁদের মধ্য়ে কেউ কেউ লিখেছেন, 'যদি জানতাম আমার পাশের আসনে একজন সিরিয়াল কিলার বসে আছে, তাহলে আমার মুখটাও ওরকমই হয়ে যেত।' সৌরভ সিং নামে আর একজনের মন্তব্য়, 'ওই মহিলার জীবনের সবথেকে ভয়ঙ্করতম মুহূর্ত।' আর একজনের মন্তব্য়, 'ওই মহিলার অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। একবার ভাবুন, টিকিট কেটে বিমানে উঠে আপনি জানতে পারলেন আপনার পাশের আসনে একজন সিরিয়াল কিলার বসে আছে!'
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, শোভরাজ নিজে চেয়েছিলেন নেপালেই থাকতে। সেখানকার একটি হাসপাতালে অন্তত দশ দিন চিকিৎসা করানোর জন্য় আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। যেহেতু তাঁর বয়স হয়েছে এবং তিনি সাজার মেয়াদের ৯৫ শতাংশই ভোগ করে ফেলেছেন, তাই শোভরাজকে মুক্তি দেন দুই বিচারপতি। যদিও আগামী দশ বছর শোভরাজের নেপালে প্রবেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।