২০ থেকে ২৫ বছর বয়সের ব্যবধানে একজন মেয়ে ও একজন ব্যক্তির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে (20 Year girl married with 46 year old man)। নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) অকল্যান্ডের Auckland) ২০ বছর বয়সের রোজানা ইঙ্কপেন (Rosana Inkpen) বিয়ে করেছেন ৪৬ বছর বয়সের স্কট (Scott) নামের এক ব্যক্তিকে। ২ বছর আগেই রোজানা ইঙ্কপেনের সঙ্গে স্কটের পরিচয় হয় এবং সেই সময় রোজানা ইঙ্কপেন প্রথম দেখাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে তিনি স্কটকে বিয়ে করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন-বিয়ের ৬ মাস পরেই সন্তানের জন্ম! শাশুড়ি বউমাকে ঘরছাড়া করলে জানা গেল আসল রহস্য!
রোজানা ইঙ্কপেন যখন তাঁর স্বামী স্কটের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর এবং স্কটের বয়স ছিল ৪৪ বছর। রোজানা ইঙ্কপেন ও স্কটের মধ্যে প্রায় ২৫ বছর বয়সের ব্যবধান হলেও তাঁরা একে অপরকে ডেট করা শুরু করেন।
সেই সময় স্কট অস্ট্রেলিয়ায় স্টিল ব্রোকার ছিলেন এবং ছুটি কাটাতে নিউজিল্যান্ডে এসেছিলেন। স্কট ও রোজানা ইঙ্কপেনের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁরা দু'জনে এনগেজমেন্ট সেরে ফেলেন। স্কট এবং রোজানা ইঙ্কপেন দু'জনেই তাঁদের সম্পর্কে বয়সকে বেশি গুরুত্ব দেন না।
রোজানা ইঙ্কপেন জানিয়েছেন যে, তিনি যখন স্কটের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন তখন পুরো শহর জুড়ে স্কটকে নিয়েই চর্চা চলছিল। প্রায় সবাই স্কটের বিষয়ে জানতে আগ্রহী ছিল। এর মধ্যেই তাঁদের দু'জনের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়। রোজানা ইঙ্কপেন স্কটের সঙ্গে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে যান এবং সেখান থেকেই তাঁদের ভালোবাসার শুরু হয়।
রোজানা ইঙ্কপেন জানিয়েছেন যে, অনেকেই তাঁকে বলেছিলেন যে সব কিছু এত তাড়াতাড়ি হলেও এই সম্পর্ক বেশি দিন টিকবে না। কিন্তু তিনি মনে করেন একে অপরের ওপর ভরসা রাখতে পারলেই সেই সম্পর্ক লম্বা সময় ধরে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন-প্রেমিকাকে প্রেমের প্রমাণ দিতে গোপনাঙ্গে তালা দিয়ে দিলেন যুবক ! যেতেও হল হাসপাতালে
২৫ বছর বয়সের ব্যবধান থাকলেও স্কট ও রোজানা ইঙ্কপেনের সম্পর্ক এগিয়ে যেতে থাকে এবং তাঁরা বিয়ে করে নেন। এর পর রোজানা ইঙ্কপেনকে অনেকে বলেছেন যে স্কট টাকার জন্য তাঁকে বিয়ে করেছেন। এই বিয়ের পর রোজানা ইঙ্কপেনের অনেক কাছের বন্ধু তাঁর থেকে দূরে সরে গিয়েছেন, কারণ তাঁর স্বামীর বয়স তাঁর বাবার বয়সের সমান।
রোজানা ইঙ্কপেন জানিয়েছেন যে বেশির ভাগ লোকই তাঁদের দেখে স্বামী ও স্ত্রী ভাবার বদলে, বাবা ও মেয়ে মনে করেন। এই সমস্ত কথা শুনলেও তিনি নিজের স্বামীর সঙ্গে খুবই সুখী রয়েছেন ৷