আসলে জেস তাঁর জীবনের এক বিরল পর্বের কথা সম্প্রতি খোলাখুলি ভাগ করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারদের সঙ্গে। জানিয়েছেন যে ১৮ বছর বয়সে তিনি কী ভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন এবং সেই ঘটনা তাঁকে কতটা স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। জেসের দাবি, তিনি প্রথমে বুঝতেই পারেননি যে তিনি মা হতে চলেছেন।
advertisement
জেস জানিয়েছেন যে ওই বয়সে তাঁর এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, খুব দ্রুত সেই আলাপ বদলে যায় অন্তরঙ্গ সম্পর্কে। এভাবেই তাঁরা দেখতে দেখতে পার করে ফেলেন চারটি মাস। এর মধ্যে আচমকাই একদিন শরীর খারাপ হয় জেসের। তিনি ঠিক করেন ব্যাপারটা ফেলে না রেখে ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করাই উচিত হবে। সেই মতো জেস যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতালে পৌঁছান, স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর সেই মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট থেকেই জানা যায় যে তিনি ২৬ সপ্তাহের গর্ভবতী!
গর্ভে সন্তান নিয়ে ২৬ সপ্তাহ পার করে ফেলেছেন, তাও তিনি সেটা বুঝতে পারেননি? এটা কী করে হয়?
জেসের এই অভিজ্ঞতার নেপথ্যে রয়েছে এক বিরল শারীরিক জটিলতা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে ক্রিপ্টিক প্রেগনেন্সি (Cryptic Pregnancy)। অর্থাৎ এই ধরনের বিরল শারীরিক অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা হলেও তার কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। গর্ভধারণ করলেও বহির্প্রকাশ দেখা যায় না, ফলে অন্তঃস্বত্ত্বার কিছু বোঝার উপায়ও থাকে না।
নেটিজেনরা অবশ্য ঘটনায় সবার আগে বিরূপ দিকটাই খুঁড়ে বের করেছেন। তাঁদের দাবি- মাত্র ৪ মাসের আলাপে এত দূর এগোলে এমন ঘটনা ঘটাই স্বাভাবিক!
জেস কিন্তু তাঁর ট্রোলারদের মুখ বন্ধ করেছেন একেবারে জুতসই জবাব দিয়ে। তিনি জানিয়েছেন যে সব কিছু জানার পরে ওই ব্যক্তি জেস এবং তাঁদের সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেননি। তাঁরা বিগত ২ বছর ধরে একসঙ্গে বাস করছেন, একটি বাড়িও কিনেছেন এর মধ্যে। ১৮ মাসের শিশুসন্তান নিয়ে জেসের গৃহকোণ এখন সুখে পরিপূর্ণ!