প্রসঙ্গত, গতকাল পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খানের সাহায্যের বার্তার পরই ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নীরবতা ভেঙেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States Of America) ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Coronavirus Second Wave) দাপটে ইতিমধ্যেই সংক্রমণে মার্কিন মুলুককে ছাড়িয়ে গিয়েছে ভারত। গত একমাসে বিদ্যুত গতিতে বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সক্রমণে গোটা বিশ্বের নজরে এখন ভারতীয় উপমহাদেশ। এই অবস্থায় ভারতের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার গভীর উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছিল আমেরিকা ৷
advertisement
যখন টিকার কাঁচামাল নিয়ে আমেরিকার নাছোড় মনোভাবে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ভারতের কপালে, ঠিক তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে টুইট করে বলা হয়, 'শুরুর দিকে অতিমারির প্রভাবে আমাদের দেশের হাসপাতালগুলি যখন সমস্যায় পড়েছিল, তখন যে ভাবে ভারত সাহায্য করেছিল, তা আমরা ভুলিনি। ঠিক সেই ভাবেই এই সময় আমরা ভারতকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।'
প্রসঙ্গত, রবিবারই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের মধ্যে দীর্ঘ কথা হয়। এরপরই সুলিভান ট্যুইটে ভারতকে সবরকম সাহায্যের কথা জানিয়ে লেখেন, 'ভারতের সাংঘাতিক পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত আমেরিকা ৷ ভারতে আমাদের বন্ধু। আমাদের সহযোগী বন্ধুরা যাতে সাহসের সঙ্গে এই অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে, সেটাই আমরা চাই এবং তার জন্য আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করছি৷ খুব শিগগিরই আরও সাহায্য করা হবে৷' মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও টুইটে লেখেন, "ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের হৃদয়ে শুধু ভারতীয় জনগণরাই রয়েছে ৷ আমরা আমাদের সঙ্গী ভারত সরকারের সঙ্গে সর্বতভাবে যোগাযোগ রাখছি ৷ দ্রুততার সঙ্গে আমরা ভারত ও ভারতের নায়কদের জন্য আরও অতিরিক্ত সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করবো ৷'
এমনকী আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট যে কমলা হ্যারিসের নীরাবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, তিনিও ট্যুইট করেন। লেখেন, 'কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে ভারত সরকারকে সবরকম সাহায্য করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের সাহসী স্বাস্থ্য কর্মী ও নাগরিকদের সুস্বাস্থ্যের প্রার্থনা করছি।'
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ভারতের সঙ্গে সবরকম ভ্রমণ বন্ধ রাখার জন্য দেশের নাগরিকদের পরামর্শ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকার প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আমেরিকার কাছে টিকা ও টিকা তৈরির কাঁচামাল রফতানি করার আবেদন জানিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু তাতে আমেরিকা জানিয়ে দেয় নিজের দেশের প্রত্যেককে টিকা দেওয়ার পরেই তা বিদেশে পাঠানো হবে। এরপরই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল ভারতের সংশ্লিষ্ট মহল। অবশেষে সেই চিন্তা কাটল।