ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের তরফে ক্যাপ্টেন বিল আরবান জানিয়েছেন. "আমাদের এই এয়ার স্ট্রাইক-এর আলাদা করে কোন নাম ছিল না। আমরা হানা দিয়েছিলাম আফগানিস্তানের নানাগহর প্রদেশ। প্রাথমিক ভাবে যেটুকু খবর আসছে তাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যকে নিকেশ করেছি। কোনও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি তা নিশ্চিত।"
প্রসঙ্গত , ২৬ অগাস্ট সন্ধ্যায় বহু দেশের গোয়েন্দাদের আশঙ্কা সত্যি করে কাবুল বিমানবন্দরে কাছে দুটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়। ১০০-র বেশি মানুষের। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা ছিলেন। সেই ঘটনার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট। পাশাপাশি তালিবান বিবৃতি দিয়ে বলে এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই।
advertisement
এতদিন পর্যন্ত দোলাচলে থাকলেও এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, এই হামলার উত্তর দেওয়া হবেই। আফগানিস্তানে বসবাসকারী মার্কিনদরে নিরাপত্তার স্বার্থেই ঠিক কী পরিকল্পনা তা চেপে রাখা হয়েছিল। উল্লেখ্য গত ১৪ অগাস্ট থেকে আজ পর্যন্ত ১ লক্ষের বেশি মার্কিন নাগরিককে কাবুল থেকে দেশে ফেরানো হয়েছে। কিন্তু অল্প সময়ের জন্য হলেও এখন বিমানবন্দর চত্বর ফাঁকা করতে চাইছে মার্কিন প্রশাসন।আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা পা রাখার পর থেকে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে গত ২৬ আগস্ট। বিমানবন্দর এলাকায় প্রকাশ্যে কালাশনিকভ থেকে গুলি চালিয়ে আইসিস জঙ্গিরা হত্যা করেছে বহু নিরাপরাধ মানুষকে। কিন্তু হোয়াইট হাউস মনে করছে এখনও বিপদ কাটেনি। কাবুলে আবারও জঙ্গিহানা হতে পারে। এই কারণেই মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের বিভিন্ন গেটে অপেক্ষারত নাগরিকদের শিগগির বন্দর এলাকা ছাড়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আর দিন তিনেকের মধ্যেই আফগানিস্তান ছাড়বে মার্কিন নাগরিক এবং সেনা। তারপর কাবুল বিমানবন্দরের দখল নেবে তালিবান।