এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৯৫টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে জয়লাভ করেছেন। এর পাশাপাশি মিশিগানের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটেও জিতেছেন। এছাড়া আলাস্কাতেও জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প।
হ্যারিস বলেন যে, “আমি যখন কথা বলি, তখন শুনুন। যতক্ষণ না আমরা হাল ছাড়ছি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকার প্রতিশ্রুতির আলো সব সময় জ্বলবে।” এরপর নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, “আমি এই নির্বাচন মেনে নিচ্ছি। কিন্তু এই প্রচারাভিযানকে যে লড়াই উস্কে দিয়েছে, সেটাকে মেনে নিচ্ছি না।” তবে মহিলাদের অধিকারের জন্য এবং বন্দুকবাজদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন কমলা হ্যারিস। সেই সঙ্গে সকল মানুষের প্রাপ্য মর্যাদার জন্য লড়াই করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
advertisement
কমলা হ্যারিস আরও বলেন যে, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পকে ফোন করেছিলেন তিনি। আর জয়ের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন তাঁকে। সেই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কমলা হ্যারিস।
একটি জনসমাগমের উদ্দেশ্যে নিজের বক্তব্য রেখেছেন হ্যারিস। যেখানে ছিলেন প্রাক্তন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। যিনি আবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হোয়াইট হাউজের সহকারী। সেই সঙ্গে ছিলেন হাজার হাজার ভক্তও। ওই জনসমাগমে যোগ দিয়েছিলেন মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়ালজও।
বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পরে জুলাইয়ে ডেমোক্র্যাটিক টিকিটের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন কমলা হ্যারিস। তবে অর্থনীতি এবং অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি ভোটারদের উদ্বেগ নিরসন করতে পারেননি। ফলে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছেন হ্যারিস। যেখানে ট্রাম্প ২০২০-র পারফরম্যান্সের তুলনায় সারা দেশেই প্রচুর ভোট পেয়েছেন। এক্ষেত্রে আসলে যে স্টেটগুলি নির্বাচন নির্ধারণ করে, সেই স্টেটগুলিকে সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ডেমোক্র্যাটরা।
মঙ্গলবার রাতে হ্যারিসের আলমা-মাটার হওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁরা আশা করেছিলেন যে, একজন মহিলা হিসেবে ঐতিহাসিক ভাবে জয়লাভ করে কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে বুধবার ফলাফল সামনে আসায় দেখা যায় হার হয়েছে হ্যারিসের। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর পাশে থাকার জন্য ফের জড়ো হয়েছিলেন সেই সমর্থকরা।