ফিলাডেলফিয়ার ভোট নিয়ে নাখুশ রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তাঁর দাবি, “বড় ধরণের কারচুপি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।” তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ-এ লিখেছেন, “আইন প্রয়োগকারীরা আসছে।” যদিও ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন ফিলাডেলফিয়ার কর্তারা।
advertisement
ফিলাডেলফিয়ার এক সিটি অফিসিয়াল বলেন, “ভুয়ো খবরের অন্যতম উদাহরণ।” ফিলাডেলফিয়া পুলিশ এবং জেলা অ্যাটর্নি অফিসও ট্রাম্পের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। জেলা অ্যাটর্নি ল্যারি ক্রাসনারের কথায়, “ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ধরণের অভিযোগের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।” সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে যদি তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে সেগুলো অবিলম্বে আমাদের হাতে দেওয়া হোক।”
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিরাট প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে! আরজি কর কাণ্ডে বদলে যাবে তদন্তের গতি?
ট্রাম্প অবশ্য কোনও প্রমাণ দেননি। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগুনে ঘি ছিটিয়ে দিয়েছে। আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। এমনকী তাঁর নিজের দল রিপাবলিকান পার্টি একাংশো তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। সিটি কমিশনার সেথ ব্লুস্টেইন, যিনি নিজেও একজন রিপাবলিকান, ট্রাম্পের দাবি উরিয়ে দিয়ে বলেছেন, “এই অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই। ফিলাডেলফিয়ার ভোট প্রক্রিয়া সবসময়ই নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।”
তবে অভিযোগ যা-ই হোক, জিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন ট্রাম্পই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ২৭৭টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্য দিকে, ২২৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন কমলা হ্যারিস।