একটি বিবৃতি জারি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ থেকে শুরু হল। এটা আমাদের বেছে নেওয়া সময়ে এবং স্থানে চলতে থাকবে।” তিনি আরও বলেন যে, “পশ্চিম এশিয়া কিংবা বিশ্বের কোনও প্রান্তে যুদ্ধ হোক, সেটা চাই না। কিন্তু যাঁরা আমাদের ক্ষতি করতে চান, তাঁদের এটা জানা জরুরি যে, যদি আপনারা আমেরিকানদের ক্ষতি করেন, তাহলে আমরাও পাল্টা দেব।”
advertisement
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আবার মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ড (সেন্টকম) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, মূলত ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস কুদস ফোর্স এবং অধিভুক্ত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলিকে নিশানা করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ৮৫টির বেশি নিশানা করে হামলা করেছে আমেরিকা। আর এর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লঙ-রেঞ্জ বম্বার-সহ অগণিত এয়ারক্র্যাফট আনানো হয়েছিল। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কার্বি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই হামলা ৩০ মিনিট ধরে চলে। আর এতে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও খতিয়ে দেখছে ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট। ৭টি ভিন্ন ঘাঁটিতে কয়েক ডজন হামলা হয়েছে। আমেরিকার বিশ্বাস, এই অভিযান সফল হয়েছে। আর তারা এ-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আরও হামলা হবে। এদিকে ইরাক সাম্প্রতিক এই সেনা অভিযানের কড়া নিন্দা করেছে। সঙ্গে এ-ও জানিয়েছে যে, এই কাজ তো সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। কিন্তু জন কার্বি বলেন যে, হামলার আগে ইরাক সরকারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ইরাক তার জবাবে কী বলেছিল, সেই বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি।
ইরাকি সশস্ত্র বাহিনীর কম্যান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাসুল একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, “আল-কাইম এবং ইরাক সীমান্তবর্তী এলাকায় মার্কিন বিমান হামলা আসলে ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং সরকারি প্রচেষ্টার অবমূল্যায়ন।” অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে ইরাক, সিরিয়া এবং জর্ডনে ড্রোন, রকেট এবং স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র-সহ অস্ত্র নিয়ে মার্কিন ও জোট সেনারা ১৬৫ বারেরও বেশি আক্রমণ করেছে। আগের হামলায় প্রচুর মার্কিন আধিকারিক আহত হয়েছিলেন। আর ওই সমস্ত হামলার অধিকাংশেরই দায় স্বীকার করেছিল ইরান-সংযুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির একটি আলগা জোট। যারা গাজা সংঘাতে ইজরায়েলের পক্ষে মার্কিন সমর্থনের বিরোধিতা করেছিল। এমনকী মার্কিন সেনাদলকে ওই অঞ্চল থেকে উৎখাত করতে চাইছে তারা।