আরও পড়ুন: পূর্ব ইউক্রেন জুড়ে রুশপন্থীদের গোলাগুলি, তবে কি যুদ্ধের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পরিস্থিতি?
এই সপ্তাহে তোলা স্যাটেলাইট চিত্রগুলিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, বেলারুশ, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল এবং ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে পশ্চিম রাশিয়া (Belarus, the annexed Crimea region of Ukraine and western Russia near Ukraine’s border) জুড়ে একাধিক স্থানে সামরিক কার্যকলাপ চলছে। ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর বিমান ঘাঁটিগুলিতে এসেছে বিপুল সংখ্যক রুশ যুদ্ধবিমান। ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া পাঁচটি বিমানঘাঁটি থেকে তোলা উপগ্রহচিত্রে রুশ বায়ুসেনার গতিবিধির চিহ্ন মিলেছে। সামরিক হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নানা সামরিক সরঞ্জামও মজুত করা হচ্ছে সেখানে। মার্কিনভিত্তিক ম্যাক্সার টেকনোলজিস (US-based Maxar Technologies), যা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ান বাহিনী গঠনের উপর নজর রাখছে, তারা বলছে যে চিত্রগুলিতে সীমান্তের কাছাকাছি একাধিক স্থানে সৈন্য পরিবহণ এবং গ্রাউন্ড অ্যাটাক হেলিকপ্টারের মোতায়েন দেখা যাচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের শিরোনামে দাউদ ইব্রাহিম, ভারতের রাজনীতিক-উদ্যোগপতিদের টার্গেট ডনের: NIA
ক্রমে আরও উদ্বেজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউক্রেনে। খবর পাওয়া গিয়েছে ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে (Ukraine-Russia Conflict), অর্থাৎ রাশিয়ার দিকের সীমান্ত জুড়ে সোভিয়েতপন্থী সশস্ত্র রাজনৈতিক কর্মীরা গোলাগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। অনাক্রমণ চুক্তি বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় ইন্ধন জোগাচ্ছে রাশিয়া (Ukraine-Russia Conflict)।
এই সপ্তাহেই মিউনিখ সিকিউরিটি কবফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। বাইডেন মনে করছেন, রাষ্ট্রপতি জার্মানিতে চলে গেলেই ইউক্রেনে ঢুকবে রাশিয়ার সেনা। সেই কারণে এই সময়ে রাষ্ট্রপতির সফর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাইডেন।
আমেরিকার তরফ থেকে বারবারই বলা হয়েছে, রাশিয়া এখন ইউক্রেন দখলের ছুতো খুঁজছে। সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই ইউক্রেন সীমান্তের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে রাশিয়া ও দখল নিতে পারে। ক্রাইমিয়ার বন্দরে দিন কয়েক আগেই পৌঁছেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। এই মুহূর্তে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ২ লক্ষ সেনা মজুত করেছে পুতিন সরকার।