এদিন বরিস বলেছেন, "ভারত সফরে আসতে না পারলেও যুক্তরাজ্য ও ভারত জোট বেধে করোনা মোকাবিলা করছে। বিশ্বের মানুষকে এই মারণভাইরাস থকে রক্ষা করতে দু'টি দেশ পাশাপাশি কাজ করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি উভয়েই যে সম্পর্ক তৈরি করেছি তা আরও মজবুত করার অপেক্ষায় এখন। সুতরাং, আমি এই বছরের শেষদিকে ভারত সফর করার প্রত্যাশায় রয়েছি"।
advertisement
ব্রিটেনে ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, "সারা বিশ্বে এই ভাইরাসটি ব্রিটেন এবং ভারতের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবসহ মানুষকে আলাদা থাকতে বাধ্য করছে"। এই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি'কে দুই দেশের মধ্যে 'সেতু' বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি ভিডিও বার্তায় ব্রিটেনে বসবাসকারী সকল ভারতীয়দের এবং ভারতকে প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বরিস।
ভারত-ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গোটা ছবিটাই বদলে দিয়েছে করোনার নয়া অবতার। আগের থেকে অনেক বেশি সংক্রামক এই নতুন করোনা স্ট্রেন। উল্লেখ্য, পূর্বে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত সফরকে কাজে লাগিয়ে, দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যাগুলি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুধু তাই নয়, ব্রিটেন ইওরোপিয়ন ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর, এটিই হতে চলেছিল ব্রিটেনের তরফে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। তবে সব কিছুই এলোমেলো করে দিয়েছে করোনা পরিস্থিতি।
