ট্রাম্প বলেন, “সমস্ত শক্তি দিয়ে আমেরিকাকে সেরার সেরা করে তুলব। যুদ্ধ বন্ধ করব।” এখানেই থামেননি তিনি। উচ্ছ্বসিত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলে চলেন, “সমালোচকদের ভুল প্রমাণ করে দিয়েছি। এবার আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হতে চলেছে।” মার্কিন মুলুকের মেহনতি মানুষ তাঁদের প্রাপ্য পুরস্কার পাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন– ‘চলুন একসঙ্গে কাজ করি…’ ‘বন্ধু’ ট্রাম্পকে অভিনন্দন নরেন্দ্র মোদির
advertisement
ট্রাম্পের মতে, “দুর্দান্ত কাজ। এমন কাজ আর হয় না। এটার পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আপনাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবই, কেউ আটকাতে পারবে না।” এদিনের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের রানিং মেট জেডি ভ্যান্স-ও। তিনি ট্রাম্পকে “মিঃ প্রেসিডেন্ট” সম্বোধন করে বলেন, “এটাই বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন।”
জনসভায় ট্রাম্পকে কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দেন ভ্যান্স, “আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা তার স্বপ্ন এবং সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করবে। দেশের অর্থনীতিতে পুনর্জাগরণ হবে।” ভ্যান্সের প্রশংসা করেন ট্রাম্পও। বলেন, “ভ্যান্স সঙ্গী হিসাবে অসাধারণ।” স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্য এবং অন্যন্য সহযোগীদেরও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এদিন অভিবাসন ইস্যু নিয়েও সরব হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “সবার আগে সীমান্ত সীল করতে হবে। আমেরিকায় আসতে গেলে আইন মেনে আসতে হবে।” নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তবে নির্বাচনী প্রচারের সময়ও অভিবাসন ইস্যুতে সরব ছিলেন ট্রাম্প।
ইলন মাস্কের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের গল্পও এদিন শতমুখে বলেন ট্রাম্প। স্টারলিঙ্ক কীভাবে প্রাকৃতিক দূর্যোগে আটকে পড়া মানুষদের জীবন বাঁচিয়েছিল, সেই গল্পও শোনান। তিনি বলেন, “ইলন মাস্ক অনেক মানুষের জীবন বাচিয়েছেন। তিনি সাধারণ ব্যক্তি নন, দূর্দান্ত এক প্রতিভা। প্রতিভাবান মানুষদের আগলে রাখতে হবে। এমন মানুষ খুব বেশি নেই।”
নির্বাচনী রাতে কোনও সমাবেশেই উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রধান রাজ্যগুলিতে তিনি পিছিয়ে রয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তেও অনেক হিসেব নিকেশ উল্টে যেতে পারে। তাই ট্রাম্প যতই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করে দিন না কেন, শেষ হাসি কে হাসবেন, তা বুক ঠুকে বলা যাচ্ছে না এখনই।