এক্স হ্যান্ডলে মাস্ক লিখেছেন, ‘আমাকে ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে লড়লে হারতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউসের দখল নিত। আর রিপাবলিকানরা সেনেটে ৫১-৪৯ অবস্থানে থাকত।’ স্বাভাবিক ভাবেই মাস্কের পোস্টটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ”আমার আর এলনের মধ্যে সম্পর্কটা দারুণ ছিল। কিন্তু আমি জানি না আমরা আর তেমন থাকব কিনা। আমি অত্যন্ত হতাশ ইলনকে নিয়ে।”
advertisement
আরও পড়ুন: এবার পাল্টা ইউক্রেনে বিরাট আঘাত রাশিয়ার! ব্যালেস্টিক মিসাইল দিয়ে হামলা, রাজধানী কিয়েভ জ্বলছে
ঘটনার সুত্রপাত হয় সপ্তাহখানেক আগে। ট্রাম্পের জনকল্যাণমূলক বিলকে ‘জঘন্য পদক্ষেপ’ বলে আখ্যা দিয়ে প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দেন এলন। তাঁর দাবি ছিল যে, এতদিন ধরে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কমাতে যা যা কাজ করেছেন এই বিলের কারণে সেই সব কাজগুলি ভেস্তে যাবে। এমনকি তিনি এও অভিযোগ করেছিলেন যে, ট্রাম্প তাঁকে না দেখিয়েই বিলটি পাশ করানোর জন্য মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করেছেন।
প্রসঙ্গত, মার্কিন মসনদ দখলের পর নিজের বিশেষ পরামর্শদাতা হিসাবে মাস্ককে নিয়োগ করেছিলেন ট্রাম্প। এমনকি প্রশাসনের ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কমানোর জন্য মাস্কের জন্য একটি দফতর তৈরি করা হয়েছিল, নাম দেওয়া হয়েছিল ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি।
ট্রাম্প দাবি করেন, মাস্ক একান্তই ব্যক্তিগত কারণে এই বিলটির বিরোধিতা করছেন। ট্রাম্পের কথায়, ‘পর্যায়ক্রমে কর সংস্কারের ওই বিলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ত টেসলার ওপর।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক ক্ষেত্রেই তাঁকে((এলন মাস্ক) সাহায্য করেছি। তিনি এখানে বসে থাকা অন্যদের চেয়ে বিলের অভ্যন্তরীণ কার্যকারিতা সম্পর্কে বেশি ভালোভাবে জানতেন। হঠাৎ তাঁর একটি সমস্যা দেখা দিল।’ তারই পাল্টা দিয়েছেন মাস্ক।