ইরানকে প্রতিশোধ নিতে বিরত রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র এসব বোমারু বিমান উড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আবার ইরান কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রথম বর্ষপূর্তির আগে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছে। শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, "ইরাক থেকে নতুন গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায় ইজরায়েলি উস্কানিদাতা এজেন্টরা আমেরিকানদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছে"। জারিফ ট্রাম্পকে ফাঁদে না পড়তে সতর্ক থাকতেও বলেছেন। ইরান ও মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ পোস্টেল একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "খেলার শেষ দৃশ্যপটে ট্রাম্প অনেক আহত এবং কোণঠাসা। ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান মিত্রদের বিশেষ করে ইজরায়েল ও সৌদি আরবের চাপের মুখে রয়েছে ট্রাম্প। তার আর কিছু সপ্তাহ সময় আছে এবং আমরা জানি তিনি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নেওয়াতে পটু"।
advertisement
তিনি আরও বলেন,এটি সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত ঘটনা হতে পারে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাডিজের সহকারী পরিচালক ড্যানি পোস্টেল নিজের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। তবে তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি ফেলে দেওয়ার নয়, কারণ ইতিমধ্যেই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিমিটজকে পারস্য সাগরে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেন্টাগন। প্রথমে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও পরে সিদ্ধান্ত বদল কিসের ইঙ্গিত? তাই ইরানের ওপর ট্রাম্পের নির্দেশে হামলা যে একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার এমনটা নয়।
