তবে, গোড়া থেকেই বলা যাক! তখন ২০১৩ সাল! ফ্রান্সের ম ব্লাঁ পাহাড়ে ট্রেকিং করছিলেন এক পর্বতারোহী। আচমকাই হুমড়ি খেয়ে পড়েন বরফের মধ্যে চাপা পড়ে থাকা একটি ধাতুর বাক্সে! কৌতূহলবশত বরফ সরিয়ে বাক্সের ডালা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ! ভিতরে থরে থরে সাজানো অমূল্য সব রতন! কিন্তু জনমানব বর্জিত ওই এলাকা, যেখানে চারদিকে শুধুই ধূধূ করছে বরফ, সেখানে কীভাবে এল এই রত্ন ভাণ্ডার? এই নিয়ে নানা মুণির নানা মত!
advertisement
স্থানীয় প্রশাসন মনে করে, ৫০ বছর আগে ওই অঞ্চলে দুটি ভারতীয় বিমান ভেঙে পড়েছিল। একটি বিমান ভেঙে পড়ে ১৯৫০ সালে আর একটি ১৯৬৬ সালে। এই দুই বিমানের মধ্যে একটি মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্ক পাড়ি দিচ্ছিল। অনুমান, সেই বিমানটি থেকেই পড়ে গিয়ে থাকবে এই বাক্স। ম ব্লাঁ পাহাড়ে বিমানটি ভেঙে পড়ায় ১১৭ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের পরমাণু গবেষণার পথিকৃত বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গির ভাবাও।
বরফের মধ্যে চাপা পড়া রত্নভাণ্ডার খুঁজে পেলেও, তখনই তা নিতে পারেননি আবিষ্কারক পর্বতারোহী। যখের ধনের মালিকানা কার? এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও তাঁর মধ্যে চলছিল সংঘাত। অবশেষে সংঘাত মিটল! স্থানীয় প্রশাসন ও পর্বতারোহীর মধ্যে সমানভাগে ভাগ করা হয়েছে রত্ন ভাণ্ডার। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, '' মহামূল্যবান রত্ন পেয়ে পর্বতারোহী খুব খুশি। ওঁর সততার বাহবা জানাই। অত ধনরত্ন পেয়েও নিজে আত্মসাৎ করেননি, দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিশের।''