ইতিহাস বলছে, এই নোটের লেখক লেফব্রে ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ও ভাই বোনদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে তাঁর মা মেরিকে নিয়ে নিউইয়র্কে বেড়াতে আসছিলেন। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁর মায়ের সঙ্গে আরএমএস টাইটানিক-এ (RMS Titanic) ছিলেন। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লেফব্রে ও তাঁর মা। টাইটানিকে সে দিন মোট ২২২৪ যাত্রীর মধ্যে ১৫০০ জনেরও বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ড়ুবে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ছেড়ে যাওয়ার চার দিন পরে এই ঘটনা ঘটেছিল।
advertisement
নোটটিতে ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা কিছু তথ্য রয়েছে। সিবিসি-র (CBC) রিপোর্ট অনুসারে, ১৯১২ সালের ১৩ এপ্রিল নোটটি লেখা হয়েছিল। "আমি আটলান্টিকের মাঝখানে এই বোতলটি সমুদ্রে ফেলে দিচ্ছি। আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে নিউ ইয়র্ক পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কেউ যদি এটা খুঁজে পান, লাইভিনের লেফব্রে পরিবারকে জানিয়ে দেবেন”। ঐতিহাসিকদের মতে, এই চিঠিটি টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে এটি লেফব্রে লিখেছিলেন কি না বা টাইটানিক বিপর্যয়ের সাংবাদিক কভারেজ চলাকালীন কেউ এটাকে লিখেছিল কি না সেই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ম্যাক্সিম গোহিরের (Maxime Gohier) মতে, “চিঠিটি আমেরিকান উপকূলে পাওয়া প্রথম টাইটানিক প্রত্নতত্ত্ব হতে পারে”। এই নোট কতটা সত্যি কতটা মিথ্যে তা প্রমাণসাপেক্ষ, কিন্তু টাইটানিক আজও একটা বড় রহস্য যার হদিশ কবে মিলবে তা সময় বলবে!