TRENDING:

বোতলবন্দি চিঠি ভেসে এলো সমুদ্রে ! ডুবন্ত টাইটানিক থেকে জলে ফেলেছিল নাবালিকা !

Last Updated:

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লেফব্রে ও তাঁর মা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কানাডা: আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের (Titanic) ডুবে যাওয়া এমন একটি রহস্য যা আজও জলের নিচে ফিস-ফিস করে। যা জানার চেষ্টা করলেও নাগালে আসে না সেই শব্দ। ২০১৭ সালে, কানাডার নিউ ব্রান্সউইকের (New Brunswick) একটি পরিবার ফান্ডি (Fundy) সমুদ্র সৈকতে কাচের বোতলে ভরা একটি নোট পেয়েছিল। নোটটি সম্ভবত ১২ বছর বয়সী ফরাসি স্কুল ছাত্রী ম্যাথিল্ড লেফব্রে (Mathilde Lefèbvre) লিখেছিলেন। সেই নোটটি কানাডার ডু কুইবেক রিমৌস্কি বিশ্ববিদ্যালয় (The Université du Québec à Rimouski) নামের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণের কাছে প্রকাশ করেছে। সেখানকার শিক্ষাবিদরা আবেদন রেখেছেন এই নোটটির কতটা সত্যতা আছে তা প্রমাণ করার বা এটা যদি ভুয়োও হয় তাও প্রমাণ করার।
advertisement

ইতিহাস বলছে, এই নোটের লেখক লেফব্রে ১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ও ভাই বোনদের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে তাঁর মা মেরিকে নিয়ে নিউইয়র্কে বেড়াতে আসছিলেন। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল তাঁর মায়ের সঙ্গে আরএমএস টাইটানিক-এ (RMS Titanic) ছিলেন। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান লেফব্রে ও তাঁর মা। টাইটানিকে সে দিন মোট ২২২৪ যাত্রীর মধ্যে ১৫০০ জনেরও বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ড়ুবে গিয়েছিল। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন ছেড়ে যাওয়ার চার দিন পরে এই ঘটনা ঘটেছিল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

নোটটিতে ফ্রেঞ্চ ভাষায় লেখা কিছু তথ্য রয়েছে। সিবিসি-র (CBC) রিপোর্ট অনুসারে, ১৯১২ সালের ১৩ এপ্রিল নোটটি লেখা হয়েছিল। "আমি আটলান্টিকের মাঝখানে এই বোতলটি সমুদ্রে ফেলে দিচ্ছি। আমাদের কয়েক দিনের মধ্যে নিউ ইয়র্ক পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কেউ যদি এটা খুঁজে পান, লাইভিনের লেফব্রে পরিবারকে জানিয়ে দেবেন”। ঐতিহাসিকদের মতে, এই চিঠিটি টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে এটি লেফব্রে লিখেছিলেন কি না বা টাইটানিক বিপর্যয়ের সাংবাদিক কভারেজ চলাকালীন কেউ এটাকে লিখেছিল কি না সেই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ম্যাক্সিম গোহিরের (Maxime Gohier) মতে, “চিঠিটি আমেরিকান উপকূলে পাওয়া প্রথম টাইটানিক প্রত্নতত্ত্ব হতে পারে”। এই নোট কতটা সত্যি কতটা মিথ্যে তা প্রমাণসাপেক্ষ, কিন্তু টাইটানিক আজও একটা বড় রহস্য যার হদিশ কবে মিলবে তা সময় বলবে!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
বোতলবন্দি চিঠি ভেসে এলো সমুদ্রে ! ডুবন্ত টাইটানিক থেকে জলে ফেলেছিল নাবালিকা !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল