ব্রিটিশ রাজপরিবারের সেবায় রত উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন যে করোনাকালীন নিয়ম মেনে যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করেই প্রিন্স ফিলিপের সম্পন্ন হবে। এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট- ডিউক অফ এডিনবরা চেয়েছিলেন যে তাঁর শেষকৃত্য যেন আড়ম্বরপূর্ণ না হয়, বিশ্ব-পরিস্থিতি সেই নির্দেশ পালনের পটভূমি রচনা করে দিল। তবে প্রত্যেক দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী মৃত্যু-পরবর্তী পালনীয় নিয়মে প্রকারভেদ চোখে পড়ে। সেই অনুযায়ী ব্রিটিশ রাজপরিবার কয়েকটি প্রাথমিক নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য।
advertisement
১. পোশাকবিধি
বিশ্বের বেশ কিছু দেশের সংস্কৃতিতে পরিবারের বা আত্মীয়মণ্ডলে কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে কালো পোশাক পরিধান করার রেওয়াজ রয়েছে। সেই মতো, ব্রিটেনের রাজপরিবারের সদস্যরা যত দিন না প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য সম্পাদিত হচ্ছে, কালো পোশাক পরবেন।
২. শববহনের রীতি
যেহেতু তিনি রাজপুরুষ, তাই প্রথা মেনে প্রিন্স ফিলিপের মৃতদেহ একটি কফিনে রেখে, সেই কফিন একটি কামানের উপরে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে অন্ত্যেষ্টিক্ষেত্রে। শবানুগমন করবেন আত্মীয় এবং বিষাদ-বাজনদার। এঁরা সবাই ব্রিটিশ আর্মি ব্যান্ডের সদস্য, শোকসঙ্গীত পরিবেশন করতে করতে ডিউক অফ এডিনবরাকে তাঁরা নিয়ে যাবেন শেষ শয্যায়।
৩. শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন রাজপরিবারের সদস্য এবং জনগণের প্রতিনিধি। তাই জনতাকে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের শেষ সুযোগ দিতেই হবে। তাঁর শবদেহ সেই অনুসারে আপাতত সংরক্ষণ করা হয়েছে। জনতা নিজেদের ইচ্ছামতো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রয়াত ডিউক অফ এডিনবরাকে।
৪. অর্ধোন্মীলিত পতাকা
রাজপরিবারের কারও মৃত্যু হলে দেশের জাতীয় পতাকা অর্ধোন্মীলিত করে রেখে দেওয়া হয়। তবে এই বিষাদকালের মধ্যেই যদি সেন্ট জর্জ'স ডে উপস্থিত হয়, তাহলে ব্রিটিশ পতাকার বদলে ব্যবহার করা হয় ইউনিয়ন পতাকা।
৫. বিষাদবেলার ব্যাপ্তি
রীতি অনুসারে প্রিন্স ফিলিপের প্রয়াণে রাজপরিবার দুই সপ্তাহের শোকপালন করবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ কোনও আইন এই সময়ে পাস করা যাবে না।