হেপাটাইটিস ‘এ’ দূষিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ায়। আর হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ছড়ায় রক্তের মাধ্যমে। হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের অস্তিত্ব আগেই জানা গিয়েছিল কিন্তু রক্তবাহিত হেপাটাইটিসের ফলে সিরোসিস ও পাকস্থলীর ক্যানসারে ভোগেন বহু মানুষ ৷ প্রতি বছর ৭ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত হয়। মৃত্যু হয় ৪ লাখ মানুষের। এতদিন রক্তবাহিত হেপাটাইটিস আক্রান্তের ক্ষেত্রে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা যেত না। সেই রহস্যের সমাধান হয় এই তিন গবেষকের হাত ধরে ৷ ক্রনিক হেপাটাইটিস অর্থাৎ হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের অস্তিত্বের খোঁজ মেলে আমেরিকান হার্ভে জে অল্টার, চার্লস এম রাইস এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হাউটনের গবেষণায় ৷
advertisement
এদিন নোবেল কর্তৃপক্ষ ট্যুইট করে জানায়, ' হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য ২০২০ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একসঙ্গে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন হার্ভে জে অল্টার, মাইকেল হিউটন এবং চার্লস এম রাইস।' স্টকহোম থেকে বিবৃতিকে জানানো হয়েছে,আমেরিকান হার্ভে জে অল্টার ক্রনিক হেপাটাইটিসের মূল কারণ হিসেবে প্রথম অজানা এক ভাইরাসকে শনাক্ত করে ৷ সেই সংক্রান্ত ভাইরাসের বিস্তারিত প্রমাণ দেন মার্কিন গবেষক চার্লস এম রাইস ৷ সেই ভাইরাসের জেনোমকে পৃথক করেন ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল হাউটন ৷
বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি বিভাগে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে জয়ীদের নাম ঘোষণা দিয়েই শুরু হয় নোবেল পুরষ্কারের ঘোষণা ৷