গোটা বিশ্বই কম-বেশি একই নিয়মে নিজেদের আটকে ফেলেছে। চিনের (China) অদূরে তাইওয়ানও (Taiwan) এর ব্যতিক্রম নয়। তারাও তাদের দেশে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা চালু করে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে বা অন্য দেশ থেকে দেশে আসা সকলকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে, কেউ কোয়ারেন্টাইনে না মানলে জরিমানার ব্যবস্থাও করে তারা।
করোনা নির্দেশিকা ও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনেই এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Worker) তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে তাইওয়ানের একটি হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে যান। সেখানে কয়েক সেকেন্ডের জন্য নিজের ঘর থেকে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙে বেরোনোর জন্য তাঁকে জরিমানা করা হয়। যা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা নেটিজেনদের একাংশের!
advertisement
NHK-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই শ্রমিককে তাইওয়ান প্রশাসনের তরফে এক লক্ষ তাইওয়ান ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রার প্রায় ২ লক্ষ ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কোয়ারেন্টাইন থেকে আট সেকেন্ডের জন্য বেরোনোর দোষেই এই কাণ্ড!
জানা গেছে, ফিলিপিনের (Philippines) ওই শ্রমিককে কাওসিয়াংয়ের একটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তিনি তাঁর ঘর থেকে মাত্র কয়েক সেকন্ডের জন্য বেরিয়ে তাঁরই ঘরের পাশে এক সহকর্মীকে (যিনি তাঁর মতোই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন) কিছু একটা দেন। আর সেটাই উঠে যায় CCTV-তে। যা দেখা মাত্রই তাইওয়ানের স্বাস্থ্য বিভাগে খবর দেয় হোটেলের এক কর্মচারী।
তবে, ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, যথেষ্ট দূরত্ব মেনেই ওই শ্রমিক তাঁর সহকর্মীকে কিছু একটা দিয়েছেন। তবে, যেহেতু কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম তিনি ভেঙেছেন, তাই তাইওয়ান প্রশাসনের তরফে টাকা এত টাকার জরিমানা ধার্য করা হয়। যা সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলতে থাকেন, এমন হলে আর সংক্রমণ কম ছড়াবে এবং সকলে সচেতন হবেন। অনেকে আবার বলতে থাকে, একজন শ্রমিকের ক্ষেত্রে মাত্র আট সেকন্ডের জন্য এত টাকা জরিমানা ধার্য করা উচিৎ হয়নি।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ানের মোট জনসংখ্যা ২৩ মিলিয়ন। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৭০০ জন।