তালিবান শাসনে অদ্ভুত ও কড়া ফতোয়া না এলে তা যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবান সরকার দাবার খেলা পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে। তালিবান মনে করছে, এই খেলা এখন জুয়ার মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্রথমে পাকিস্তানকে পূর্ণ সমর্থন! এখন যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব পেতেও ঝাঁপিয়েছে চীন, জানুন পুরোটা…
advertisement
বিবিসি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে দাবা খেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে খতিয়ে দেখা হবে, ইসলামী শরিয়া আইনের সঙ্গে এই খেলার সামঞ্জস্য আছে কি না। সেই অনুযায়ী এই খেলা চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ রাখা হবে অথবা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।
আফগানিস্তানে এটি প্রথম কোনো খেলা নয়, যেটি তালিবান নিষিদ্ধ করেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নারীদের। তাদের কোনো ধরনের খেলাধুলায় অংশ নেওয়ার অনুমতি নেই। নারীদের জন্য সব ধরনের খেলা নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারে ব্রহ্মোস মিসাইল আছড়ে পড়লে কী হবে! উত্তর জানলে চমকে উঠবেন…
তালিবান কেন এই সিদ্ধান্ত নিল? তালিবান সরকার ২০২১ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই এমন সব নিয়ম চালু করছে যা শরিয়া আইন অনুসারে তাদের চরম মতাদর্শকে তুলে ধরে। এএফপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্রীড়া দফতরের মুখপাত্র আতুল মাশওয়ানি জানিয়েছেন, “শরিয়া আইনে দাবাকে জুয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়”, যা গত বছরের ঘোষিত আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ।
তিনি বলেন, “দাবা খেলার সঙ্গে কিছু ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি জড়িত… যতদিন না এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে, ততদিন আফগানিস্তানে দাবা খেলা নিষিদ্ধ থাকবে।” তিনি আরও জানান, “আফগানিস্তানের জাতীয় দাবা ফেডারেশন গত দুই বছর ধরে কোনো সরকারি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেনি।”
গত বছর তালিবান এমএমএ (মিক্সড মার্শাল আর্টস)-এর মতো ফ্রি স্টাইল ফাইট প্রতিযোগিতাও নিষিদ্ধ করেছিল। তারা বলেছিল, এই খেলা অত্যন্ত “হিংস্র” এবং “শরিয়া আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যাযুক্ত।”