চলতি মাসের গোড়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনার স্ফুলিঙ্গ ছড়াতে শুরু করেছিল, এখনও তার আঁচ নেভেনি। তাইওয়ান প্রণালী-সহ দক্ষিণ চিন সাগরের বিভিন্ন অংশে চিনা রণতরী ও ‘অ্যাম্ফিবিয়ান ল্যান্ডিং ভেহিকলস’ মোতায়েনের খবর মিলেছে।
নেমেছে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ডুবোজাহাজও। এই পরিস্থিতিতে চিনা নৌবহরের মোকাবিলায় এফ-১৬ভি কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে সামরিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত। প্রসঙ্গত, চিন তার জে-২০-কে ‘সম্পূর্ণ স্টেলথ’ (রাডার নজরদারি ফাঁকি দিতে সক্ষম) বলে দাবি করলেও মার্কিন ও ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশেরই এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
advertisement
তাঁদের মতে, চিনা বিমানটি বড় জোর ‘আংশিক স্টেলথ’। বস্তুত, ভারতীয় বায়ুসেনার সুখোই-৩০ এমকেআই ফাইটার জেটের রাডার সীমান্তে জে-২০-র গতিবিধি চিহ্নিত করেছে বেশ কয়েক বারই। তাইওয়ান বায়ুসেনার তরফে বুধবার পূর্ব হুয়ালিয়েন কাউন্টির একটি বিমানঘাঁটিতে ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’র ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত এফ-১৬ ভি-র ছবি। চিন সাগরের ‘দ্বীপরাষ্ট্রের’ দাবি, অস্ত্রসজ্জিত ছ’টি যুদ্ধবিমান রাতে টহলদারি উড়ানও চালিয়েছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা দফতর এক বিবৃতিতে বলেছে ‘চিনা কমিউনিস্ট বাহিনীর আগ্রাসনের মুখে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছি আমরা।
চিনের জে ২০ আকারে বড় এবং বেশি তেল নিয়ে যেতে পারে। অস্ত্র বহন করার ক্ষমতাও বেশি। কিন্তু গতিতে এবং ডগ ফাইট করার ক্ষেত্রে এগিয়ে তাইওয়ানের আমেরিকায় নির্মিত এফ ১৬ ভি। চিনের জে ২০ যুদ্ধক্ষেত্রে সেভাবে পরীক্ষিত নয়। অন্যদিকে একাধিক যুদ্ধ লড়ার অভিজ্ঞতা আছে এফ ১৬ ভি র। তাই চিনের টানা হুমকির মধ্যেও আত্মবিশ্বাসী ছোট দেশ তাইওয়ান।