২০১১ সালে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে সে অর্থে আর শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় আসাদ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকলেও দেশটির বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের কাছেই পরাজয় বরণ করলেন আসাদ। বিদ্রোহীরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে সিরিয়ার রাজধানীয় দামেস্কের দখল নেওয়ার পর রবিবার সকালে দেশটির সরকারের পতন হয়।
advertisement
এর আগে, প্রায় ১৪ বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে দেশটিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহত হন। পাশাপাশি সিরিয়ার ২ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকই বাস্তুচ্যুত হন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবাদ চরম আকার নেয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের আক্রমণে রাজধানী দামেস্ক থেকে পালিয়ে গেছেন। এরপরই বিদ্রোহীরা আসাদের ব্যক্তিগত বাসভবনের দখল নেয়।
গত সপ্তাহ থেকে ধরেই বোঝা যাচ্ছিল যে কোনও মুহূর্তে আসাদ সরকারের পতন হতে পারে। অবশেষে পর্যন্ত বিদ্রোহীদের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে না পেরে পিছু হটে আসাদ বাহিনী। যার ফলে আসাদ সরকারের পতন। আসাদের ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। ঠিক যেন গত ৫ অগাস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে।
আরও পড়ুনঃ IND vs AUS: ৫ ভারতীয় তারকার শেষ অস্ট্রেলিয়া সফর! এদের বদলি পাওয়া খুব কঠিন
আসাদ সরকার পতন নিশ্চিত হতেই মানুষ আসাদ-বিরোধী স্লোগানও দেয় এবং গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকে। তরুণ বালকেরা অস্ত্র হাতে নিয়ে বাতাসে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উদযাপন করে। এ সময় পুরুষরা আকাশে গুলি ছুড়ে উদযাপন করে এবং কেউ কেউ সিরিয়ার তিন-তারকা বিশিষ্ট পুরনো পতাকা ওড়ান হয়। সেনা ও পুলিশরা তাদের কর্মস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান। আসাদ সরকার পতনের পর এখন কোন পছে সিরিয়ায় শান্তি ফেরে সেটাই দেখার।