সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সিরিয়ার হমস প্রদেশের এক সেনা কলেজে স্নাতক সমাবর্তনের সময় এই ড্রোন হামলা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীও। তবে হামলার কয়েক মিনিট আগেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত কেউ অবশ্য এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার টাকার ওষুধ নয়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নিখুঁত দাওয়াই কাঁচা কলা খান! অবিশ্বাস্য গুণ
advertisement
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, বৃহস্পতিবার ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরক ঠাসা কয়েকটি ড্রোন ওই অনুষ্ঠানকে নিশানা করছিল। এই হামলার জন্য আন্তর্জাতিক বাহিনীর মদতপুষ্ট কোনও গোষ্ঠীকেই দায়ী করেছে সিরিয়া সেনা। বিবৃতিতে এমনটাই দাবি তাদের।
ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সাজসজ্জার দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি বলেন, “অনুষ্ঠানের পরে সকলে নিচের প্রাঙ্গণে নেমেছিলেন। সেই সময়ই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। আমরা জানি না, ওই বিস্ফোরক কোথা থেকে এল! বিস্ফোরণের পর দেখা যায়, চারিদিকে শুধু ছিন্নভিন্ন রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে।”
আরও পড়ুন: চা বাগানের ধার থেকে শিশুকে তুলে নিল চিতাবাঘ, তার পরের ঘটনা অবিশ্বাস্য! দেখুন
এই হামলায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে অবশ্য মতভেদ রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আর জখম হয়েছেন প্রায় ১২৫ জন। তবে সিরিয়া সরকারের সমর্থনকারী জোটের এক আধিকারিক জানান, নিহতের সংখ্যা প্রায় ১০০। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-ঘাবাশ অবশ্য স্টেট টেলিভিশনের কাছে জানিয়েছেন, ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি শিশুও। আহত হয়েছেন প্রায় ২৪০ জনেরও বেশি। অনেকের অবস্থাই আবার সঙ্কটজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
হোমসের এই ড্রোন-হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শুধু তা-ই নয়, তাঁর মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক জানান, উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় গোলাগুলি চলার রিপোর্টও প্রকাশ্যে এসেছে। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে যে, “এই হামলার অর্থ হল নিরাপত্তার উল্লঙ্ঘন। শুধু তা-ই নয়, এটা সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর জন্যও বড়সড় আঘাত। আসলে দীর্ঘ সময় ধরেই সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকার প্রাণকেন্দ্রে হামলার নিশানায় রয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।”