সুনীতাদের সঙ্গে একই মহাকাশযানে ফিরেছেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভশ্চর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। গত বছর জুন মাসে সুনীতারা মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন।
বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরের ফ্লরিডা উপকূলে মহাকাশচারীরা নিরাপদে অবতরণ করেন। তাঁদের আনার জন্য সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল মার্কিন নৌ সেনা বাহিনীর বোট। মহাকাশচারীদের হাইড্রোলিক পদ্ধতিতে তোলা হয় জাহাজে। সেখানে ভারতীয় সময় ভোর ৪টে ২২ মিনিট নাগাদ হাসি মুখে বেরিয়ে আসেন সুনীতা উইলিয়ামস।
এদিকে পৃথিবীতে ফেরার পর সুনীতাদের শারীরিক অবস্থা কেমন থাকতে পারে? এই নিয়ে দিল্লির বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ও জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডঃ অখিলেশ যাদব বলেন, “মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই বললেই চলে। মাইক্রোগ্র্যাভিটি কাজ করে। মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যে এর গুরুতর প্রভাব পড়ে। পেশি দুর্বল হয়ে যায়। হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়। আসলে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় পেশি ও হাড়ের প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি চলে যায়। ফলে যে কোনও সময় হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। অন্যান্য সমস্যাও হয়। হৃদযন্ত্র ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় পরিবর্তন দেখা যায়। ফ্লুইড শরীরের উপরের অংশে জমতে থাকে, মুখ ফুলে যায়। চোখে অতিরিক্ত আপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তিতেও সমস্যা হয়।’’
মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই বলছেন ডঃ অখিলেশ যাদব। তাঁর কথায়, “শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে ভেস্টিবুলার সিস্টেম। মহাকাশে থাকার কারণে এই সিস্টেম ব্যহত হয়। এ থেকে মোশন সিকনেস হতে পারে। দিক গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনাও থাকে। এমনকী, জিনের প্রকাশেও পরিবর্তন ঘটতে পারে। অনেকে একাকীত্ব, স্ট্রেস, উদ্বেগে ভোগেন। মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। দিন-রাতের চক্র ব্যহত হওয়ায় ঘুমের সমস্যাও হয়।’’