দক্ষিণ আফ্রিকায় দশ সপ্তাহ আগেই এর হদিশ মিলেছে বলে জানিয়েছে হু। ফলে ওমিক্রনের সংক্রমণের গতি যে চিন্তা বাড়িয়েছিল বিশেষজ্ঞদের, তা দ্বিগুণ করে তুলেছে ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ বা ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকায় মেলার পরই তা ছড়িয়ে পড়ে বাকি ৫৬টি দেশে। ধীরে ধীরে এর প্রসার আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। জানা গিয়েছে, ওমিক্রনের 'সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যারিয়েন্ট' হিসাবে পরিচিত 'BA.2'-এর সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে অনেকটাই কমল করোনা সংক্রমণের হার ও আক্রান্ত, তবে চিন্তা মৃত্যু!
হু জানিয়েছে, বিজ্ঞানীদের দাবি, আগে যদি কেউ মৃদু উপসর্গ সমেত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলেও যে তিনি নিস্তার পাবেন তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ, তাঁর শরীরে ভবিষ্যতে সংক্রমণ এড়ানোর মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি না থাকারই সম্ভাবনা বেশি। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার করা এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। আমাদের দেশে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। দিল্লি, গুজরাত, কর্ণাটক-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দাপট এই সাব ভ্যারিয়েন্টের। আর ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টটি কিন্তু সবথেকে বেশি সংক্রামক। এই নতুন সাবভ্যারিয়েন্টকে (Omicron Subvariant BA.2) শনাক্ত করাও বেশ মুশকিলের হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভোট আসবে-যাবে, করোনার সঙ্কটকালে অর্থনীতির শক্তিশালী সহায়তা প্রয়োজন: নির্মলা সীতারমন
বেশ কিছু গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে যেখানে ওমিক্রনের BA.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে ১০.৩ % সেখানে ওমিক্রন BA.2-তে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩.৪%। একই পরিবারের একাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই সাবভ্যারিয়েন্টে। যাঁদের কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ সম্পন্ন তাঁরাও কিন্তু আক্রান্ত হয়েছেন এই ভ্যারিয়েন্টে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তরফে যেমন জানানো হয়েছে ভাইরাসের গতিবিধি নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটিকে শনাক্তকরণের জন্য জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা করতে হবে।