ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ও দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হানার পর আতঙ্কে ডুবে শ্রীলঙ্কা। খাতায়-কলমে কার্ফু উঠলেও দেশের বড় শহরগুলিতে অলিখিত কার্ফুর অবস্থা। এরই মধ্যে ফিরে ফিরে আসছে ইস্টার সানডের আতঙ্ক ৷
সকাল ১০.১৫-এ কলম্বোয় সেন্ট অ্যান্টনিস চার্চে বিস্ফোরণ ! চার্চের সামনে রাখা গাড়ির বনেটে বিস্ফোরক রাখা ছিল। সোমবার সকালে সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার সময়ই বিপত্তি। গাড়িতে থাকা একটি শক্তিশালী বোমা ফেটে বিস্ফোরণ হয়।
advertisement
বিকেল ৩.৫০ মিনিট কলম্বো সদর বাসস্ট্যান্ডে তল্লাশির সময় উদ্ধার হয় ৮৭টি ডিটোনেটর। এগুলো নাশকতার জন্যই ওখানে হয়েছিল বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রক। দেশে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের মন্ত্রিসভা। শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ৭ ভারতীয়ের মৃত্যু জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নিখোঁজ সাত জেডিএস কর্মীর মধ্যে চারজনের মৃত্যর কথা জানিয়ে ট্যুইট করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী।
আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও সন্ত্রাসদমনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। বিস্ফোরণে পিছনে কারা? শ্রীলঙ্কা সরকার অনেকটাই নিশ্চিত, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ নাশকতার পিছনে রয়েছে ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত। কট্টরপন্থী এই সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আদর্শে বিশ্বাসী ৷ বৌদ্ধ-অত্যাচারের অভিযোগ তুলেই শ্রীলঙ্কায় সক্রিয় তারা ৷ তবে এতবড় নাশকতা ঘটানোর শক্তি তাদের নেই বলেই নিশ্চিত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা ৷
আর এখানেই উঠে আসছে নয়া আশঙ্কা। সিরিয়া, লেবাননে কোনঠাসা হয়ে কী শ্রীলঙ্কার মতো দেশে ঘাঁটি শক্ত করছে ইসলামিক স্টেট? আইএসের মদতেই কী তৌহিদ জামাতের এই অপারেশন?
সোমবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু সন্দেহজানককে গ্রেফতার করেছে সেনা ও পুলিশ। তবে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণ নিয়ে সিরিপালা প্রশাসনের আচরণও অবাক করার মতো। সন্দেহভাজন জঙ্গি বা মানববোমাদের নিয়ে কার্যত কোনও তথ্যই দেওয়া হচ্ছে না আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে।