আর সেই চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিলেন প্রাক্তন নাসার মহাকাশচারী লেরয় চিয়াও। তিনি বলেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে অভিযান চালানোর পরে মহাকাশচারীদের ‘বেবি ফিট’ নামক একটা অভিজ্ঞতা হয়। আসলে ওজনহীনতার কারণে পায়ের কড়া বা পায়ের ত্বকের শক্ত অংশগুলি উধাও হয়ে যায়। সেই কারণেই এই বেবি ফিট নামক অবস্থা দেখা দেয়। বিষয়টাকে আরও সহজ করে চিয়াও বলেন যে, “এর অর্থ হল, আপনি আপনার পায়ের ত্বকের শক্ত অংশগুলি হারিয়ে ফেলবেন।”
advertisement
এক্ষেত্রে শুধু পায়ের চামড়া নরম হয়ে যায় না, তার পাশাপাশি মাথা ঘোরানো এবং গা গোলানো বা বমি-বমি ভাবের মতো উপসর্গও খুবই সাধারণ বিষয়। মহাকাশচারী টেরি ভার্টস এই অভিজ্ঞতাকে আবার ফ্লুয়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর কথায়, “আমার নিজেকে খুবই ভার ভার লাগছিল আর সত্যিই খুবই মাথা ঘোরাচ্ছিল।” আর মহাকাশ থেকে ফেরার পর পরিবেশের সঙ্গে শরীরের মানিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়।
কিন্তু তাঁদের ফিরতে এতটা দেরি হচ্ছে কেন?
সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর আসলে গিয়েছিলেন একটি আট দিনব্যাপী অভিযানে। যদিও তাঁদের বোয়িং স্টারলাইনার স্পেসক্র্যাফ্টে কিছু গোলযোগ দেখা দেয়। যার ফলস্বরূপ, তাঁদের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনেই আটকে থাকতে হয়েছে। এদিকে যেহেতু তাঁদের মহাকাশে বেশি সময় ধরে থাকতে হচ্ছে, ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের স্বাস্থ্য বা শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, মহাকাশ থেকে এই দুই মহাকাশচারীর প্রত্যাবর্তনে বিলম্ব আবার রাজনৈতিক বিতর্কেরও উদ্রেক করেছে। এর জন্য বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্ক। তাঁদের অভিযোগ, ওই দুই মহাকাশচারীকে ফিরিয়ে আনার জন্য নাসা দ্রুত পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
বর্তমানে ফেরার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নাসা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছিল যে, আগামী ১২ মার্চ ক্রু-৯ উৎক্ষেপণ করা হবে। তার পরেই সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরকে ঘরে ফিরিয়ে আনবে SpaceX Dragon ক্যাপসুল। আপাতত আগামী ১৬ মার্চ তাঁদের ফেরার কথা রয়েছে।