হ্যারিসকে মনোনীত করার পর বাইডেন বলেন, “আমরা দু’জনে মিলে এ বার ট্রাম্পকে কড়া টক্কর দেব।” বাইডেনের সহযোদ্ধা হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর হ্যারিস টুইট করেন, “এই মনোনয়নের জন্য আমি গর্বিত। বাইডেন যাতে প্রেসিডেন্ট হতে পারেন তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন। তবে বাইডেন শুধু প্রতিশ্রুতি দেননি। আজ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন তিনি। আমেরিকার মসনদে এবার জো বাইডেন বসবেন , সঙ্গে থাকবেন কমলা হ্যারিস। এ যেন এক গৌরবময় জয়। শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের মেয়ে কমলাদেবী হ্যারিস সংক্ষেপে কমলা হ্যারিস কখনওই তাঁর নিজের শিকড়কে ভোলেননি।
advertisement
আজ এই গর্বের দিনে ট্যুইট করলেন কমলা হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, 'তোমার জন্য খুবই গর্বিত।'
ভারতীয় বংশদ্ভূত মা এবং জামাইকান বংশদ্ভূত পিতার কন্যা কমলা হ্যারিস বর্তমানে সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর নারী হিসেবে সর্বোচ্চ পদে আসীন হলেন। কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন ২০১০ সালে এবং দুই বছর সেই দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুপরিচিত হয়ে উঠেছিলেন বিপক্ষের প্রতি কড়া প্রশ্ন ছুড়ে দেয়ার জন্য।
৭৭ বছর বয়সী বাইডেন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়া সবচেয়ে বয়সী রাজনীতিক। এদিন পেনসিলভেনিয়ায় জয়লাভ করেই সেই ম্যাজিক অঙ্ক জোগাড় করে ফেলতেই সুনিশ্চিত হয়ে যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প জমানার অবসান ঘটিয়ে মসনদে বসতে চলেছেন বাইডেন। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাইডেনের সংগ্রহ ২৭৩ টি ইলেক্টোরাল ব্যালট। শনিবার যখন ভোটগণনা শুরু হয়েছিল তখন বাইডেন শিবিরের হাতে ছিল ২৫৩টি ইলেকটোরাল ভোট। ২১৪ টি ভোট নিয়ে ট্রাম্প শিবির ধুঁকতে থাকলেও, নাটক জমে ওঠে জর্জিয়ায় নতুন করে গণনা শুরু হওয়ায়। আশায় বুক বাঁধতে থাকে ট্রাম্প শিবির।