শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! মা জেসিকা জনসনের ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রায় ১৬,০০০ ডলার টাকা খুইয়ে ফেলেছে উইলটনের জর্জ জনসন । সম্প্রতি New York Post-এ এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, জর্জ তাঁর প্রিয় গেম সোনিক ফোর্সেসের ইন-গেম পার্চেজ করতে গিয়ে এই কাণ্ড করেছে। গেমের জন্য কিছু অ্যাড অন বুস্টার কিনছিল সে। সেখানেই রেড রিংয়ের একটি অপশন ছিল। যার মূল্য ছিল ১.৯৯ ডলার থেকে শুরু করে ৯৯.৯৯ ডলার পর্যন্ত। জর্জের কথায় এই গোল্ড রিং কিনলে গেমের স্পিডের পাশাপাশি আরও নিত্য-নতুন ক্যারেক্টারও পাচ্ছিল সে।
advertisement
জুলাই মাসের ঘটনা। ৯ জুলাই পর্যন্ত বিষয়টি নজরে আসেনি জর্জের মায়ের। ৯ জুলাই প্রথমবার ক্রেডিট কার্ডে মোট ২,৫০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১,৮০,০০০) কাটা যায়। বিষয়টি নাড়াচাড়া করে বোঝা যায়, অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা কেটেছে Apple ও PayPal। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ হয়েছিল, হয় তো এই নামে কোনও প্রতারণা চক্র কাজ করেছে। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করেন জর্জের মা। একটা গেমের জন্য এত টাকা কাটা গিয়েছে, তা বোঝাই যায়নি। এরপর টাকার অঙ্কটা যখন ১৬,২৯৩.১০ ডলারের (প্রায় ১১.৯৯ লক্ষ টাকা) কাছে গিয়ে পৌঁছায়, তখন একটি প্রতারণার কেসও ফাইল করেন জর্জের মা। কিন্তু অক্টোবরে এসে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। জর্জের মা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে Apple কতটা সাহায্য করতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ঘটনার ৬০ দিনের মধ্যে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হয়নি Apple-এর সঙ্গে।
গেমের অ্যাকাউন্টের সেটিংসে গিয়ে আগে থেকে কোনও সতর্কতামূলক পদক্ষেপও নেননি জেসিকা। সেটিংসে এই সংক্রান্ত কোনও ব্যবস্থা ছিল বলে তাঁর জানা নেই। জেসিকার কথায়, যদি এই বিষয়ে জানা থাকত, তা হলে আর ভুল হত না। নিজের ৬ বছরের ছেলেকে ২০,০০০ ডলারের ভার্চুয়াল রিংয়ের পিছনে ছুটতে দিতেন না তিনি। তবে ছয় বছরের অবোধ জর্জের উত্তর- ঠিক আছে মা। আমি টাকা ফিরিয়ে দেব!
তবে শেষমেশ Apple ও গেম ডিজাইনারদের দিকেই আঙুল তুলেছেন জেসিকা। তাঁর কথায়, এই গেমগুলি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়। খুব সহজেই শিশুমনকে বিচলিত করতে পারে। সহজ কথায় বলতে গেলে, গেমের নানা জিনিস কিনতে উসকানি দেয় শিশুদের। তাঁর ছেলে বুঝতেই পারেনি যে, টাকাগুলো সত্যি ছিল! আর কী করেই বা বুঝবে! সে তো কল্পনার জগতে কার্টুন গেম খেলে! তাই কী পরিমাণ টাকা নষ্ট হয়েছে, তা বোঝার মতো বোধশক্তি নেই তাঁর ছেলের!