গুলি চালনার এই ঘটনার পর অস্ট্রিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গ্রাজের সেকেন্ডারি স্কুলে ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে পুলিশি মুখপাত্র সাবরি ইয়রগান বলেন, স্কুলে স্পেশ্যাল ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু তাদের সন্দেহ, এই ঘটনায় একাধিক বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রাজের এই হামলার কথা স্বীকার করে এক্স প্ল্যাটফর্মে পুলিশ জানিয়েছে যে, বর্তমানে পুলিশি তদন্ত চলছে… স্পেশ্যাল ফোর্স বসানোর কারণ হল – ওই বিল্ডিং থেকে গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে। অস্ট্রিয়ান পাবলিক ব্রডকাস্টার ওআরএফ পুলিশি তদন্তের উল্লেখ করে জানান যে, এই গুলি চালনার ঘটনার পিছনে রয়েছে এক পড়ুয়া। যার জেরে স্কুলটিকে খালি করানো হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশের মুখপাত্র ফ্রিৎজ গ্রান্ডনিগ বলেন যে, একাধিক পড়ুয়া এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা গুরুতর আহত হয়েছে।
advertisement
গোটা ইউরোপ জুড়ে শোকের আবহ:
গুলি চালনার এই ঘটনার খবরে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইইউ-এর শীর্ষ কূটনীতিবিদ কাজা কাল্লাস। এক্স প্ল্যাটফর্মে কাল্লাস পোস্ট করেছেন যে, স্কুলে প্রত্যেকটা শিশুরই নিরাপদ বোধ করা উচিত। ভয়-আতঙ্ক এবং হিংসা থেকে মুক্ত হয়ে শেখার পরিবেশ সকলের পাওয়া উচিত। এই অন্ধকার মুহূর্তে আমার সমবেদনা আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবার এবং অস্ট্রিয়ার সমস্ত মানুষের সঙ্গে রয়েছে।
ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন যে, গ্রাজের এই ঘটনা আমার হৃদয়কে আঘাত করেছে। শুধু তিনিই নন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আক্রান্তদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, মর্মান্তিক খবর।
এমনিতে অস্ট্রিয়ায় প্রায় ৯.২ মিলিয়ন মানুষের বাস। তবে এ দেশে জনসমক্ষে এমন হামলার ঘটনা প্রায় বিরল বললেই চলে! গ্লোবাল পিস ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ১০টি নিরাপদ দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই দেশ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব স্লোভাকিয়ার একটি স্কুলে এক হাইস্কুল পড়ুয়া এবং এক শিক্ষককে কুপিয়েছিল বছর আঠেরোর এক তরুণ। ঠিক তার আগের মাসে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবের একটি প্রাইমারি স্কুলে ৭ বছরের এক পড়ুয়াকে কুপিয়ে খুন করেছিল ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। ঘটনায় প্রচুর মানুষ আহত হয়েছিল।