আসাদুজ্জামান খান কামালের দাবি, ‘আগেই বলেছি, এটা গণতান্ত্রিক সরকারকে নষ্ট করার জন্য, অসাম্প্রদায়িক যে চেতনা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছিল তাকে নষ্ট করার জন্য এগুলি করা হচ্ছে। আমরা এই রায় মানি না। বাংলাদেশের মানুষ এই রায় মেনে নেবে না। জনগণ এই রায় মেনে নেবে না। এই রায়ের এত বড় দুঃসাহস যারা দেখিয়েছেন, তারা নিশ্চয় ধীরে ধীরে টের পাবেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যেমন বাংলাদেশের মানুষ করেছে, এই ষড়যন্ত্র যারা করলেন তাদের বিচার মানুষ করবেন।’
advertisement
আরও পড়ুন: এসএসসি একাদশ-দ্বাদশে ইন্টারভিউতে ২০৫০০ জনের তালিকায় কতজন নতুন ও কতজন চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থী জানুন
পুলিশের গুলিচালনা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশের একটা নিয়ম রয়েছে, ট্রেনিং থাকে। আইনেই লেখা রয়েছে কখন কোন অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। প্রথমে বাঁশি বাজায়, তারপর কাঁদানে গ্যাস, তারপর জলকামান, তারপর পুলিশের উপর আক্রমণ হলে তবেই অস্ত্র চালানো হয়। আমাদের প্রচুর পুলিশ, প্রচুর মানুষ মারা গেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নির্দেশে কোনও মানবতা বিরোধী কাজ করা হয়নি। আজ যা ঘটচ্ছে তার জন্য তারাই দায়ী। সঠিক ভাবে কোনও তদন্তই হয়নি। কোনও অভিযোগ সত্য নয়। বেশিরভাগের ময়নাতদন্ত হয়নি, কীভাবে শেষকৃত্য হয়েছে কেউ জানে না। প্রচুর হত্যা হয়েছে, কাদের গুলিতে কে মারা গিয়েছে তা পরিষ্কার নয়।ট
আবু সাইদ প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামালের দাবি, ‘রংপুরে আবু সাইদের ঘটনাই যদি ধরি, এই ঘটনার ভিডিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি। আমি দেখেছি, আবু সাইদ খালি গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ইউনিভার্সিটির গেট, পুলিশ সেখানে রাবার বুলেট চালায়। শরীরের মধ্যে স্পষ্ট রাবার বুলেটের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। হঠাৎ করে দেখলাম, তিনি পিছনে ঘাড়ে হাত দিয়ে বসে পড়লেন। এবং পাশে থেকে একজন তাঁকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। ৩ ঘণ্টা পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। এখানে সুষ্ঠু তদন্ত হলেই দেখা যাবে এখানে আসলে কী হয়েছিল। শরীরে যে বুলেট পাওয়া গিয়েছিল সেগুলো কোথা থেকে এল। সবই সাজানো ঘটনা আসলে।’
আসাদুজ্জামান খান কামালের বক্তব্য, ‘কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। শেখ হাসিনা সে কারণেই দেশত্যাগ করেছিলেন, যাতে মৃত্যু আরও না বাড়ে। আওয়ামী লীগের সরকারকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়েছে। জোরজুলুম করে আওয়ালী লীগের সমর্থকের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সব নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ এটা মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ সব সময়ই নির্বাচনমুখী দল। আমাদের নেতা-কর্মী-ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি হলে আমরা নিশ্চয়ই ভোটে অংশ নেব। রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ, মানুষের মতই মেনে নেবে। অবৈধ আদালতে অবৈধ মত দেওয়া হচ্ছে।’
আসাদুজ্জামান খান কামালের দাবি, ‘পাকিস্তানের নির্দেশে বাংলাদেশ পরিচালনা হচ্ছে। আদালতে আমাদের কেউ ছিল না। সরকার যাকে নিয়োগ করেছে সে জামাতের সদস্য। যার বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছি, যারা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, আমাদের মা-বোনেদের জীবন নষ্ট করেছে, তারাই আজকে পাকিস্তানের যোগসাজশে দেশ চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ সব টের পাচ্ছেন। ৭১-এর বদলা নিতেই পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ।’
আবীর ঘোষাল
