যদিও বিভিন্ন জটিলতার কারণে এতদিন কাজ এগোয়নি। এই প্রকল্প নিয়ে দেশের ভেতরেই মত এবং পাল্টা মত ছিল। তবে এবার শুরু হচ্ছে নির্মাণ কাজ। সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের এই স্বপ্নের প্রকল্প ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে পৃথিবীতে। সলমন জানিয়েছেন সৌদি আরবের এতদিন যে ধারণা পৃথিবীর কাছে ছিল, তিনি মনে করেন তা কিছুটা পরিবর্তন করা দরকার। দেশের উত্তর-পশ্চিম সীমানায় লোহিত সাগরের ধারে গড়ে তোলা হবে এই স্বপ্নের শহর। থাকবে না রাস্তা, চলবে না গাড়ি, হবে না কোনও দূষণ। প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হবে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পরিবেশে তৈরি হবে এই শহর। প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে তৈরি হবে এই শহর। লোকসংখ্যা হবে ১০ লক্ষের মত। তবে একটি বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব অনেকখানি রাখা হবে।
advertisement
সৌদি প্রশাসন মনে করছে প্রায় দশ বছর পর এই শহর যখন তৈরি হয়ে যাবে তখন পৃথিবীর প্রচুর লগ্নি আসবে দেশে। শুধুমাত্র তেলের দেশ বলে পরিচিত সৌদি আরবকে নতুন পরিচয় দেবে এই ইকো সিটি। যুবরাজ জানিয়েছেন মানুষ তাঁদের দেশে খুব একটা ঘুরতে আসেন না। হয়তো দেশের কঠিন নিয়ম, ধার্মিক প্রতিবন্ধকতা একটা কারণ। অথচ ঠিক পাশের দেশ আমিরাত দুবাই, আবুধাবি সহ বিভিন্ন টুরিস্ট স্পট গড়ে তুলে বছরে প্রচুর পরিমাণে টাকা কোষাগারে ঢোকায়। তাই নতুন করে ভাবতে বলছেন যুবরাজ। সৌদির ইতিহাসে এই শহর নতুন যুগের সূচনা করতে পারে কিনা তা ভবিষ্যৎ বলবে।