গুহাটিতে ওই ব্যক্তিকে 'শিকার' করে প্রায় আধমরা করে রেখে যায় একটি ভাল্লুক। লক্ষ্য ছিল, পরে ফিরে এসে শিকার আত্মসাৎ করার। ভাল্লুকের আক্রমণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়, ভেঙে যায় মেরুদণ্ড! দীর্ঘদিন এই অবস্থায় পড়ে থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে শরীরে। প্রায় টানা এক মাস ধরে আলেকজান্ডার এই গুহায় পড়ে রয়েছেন। পালিয়েও যেতে পারেননি। এই এক মাস তাঁর খাবার ছিল শুধুই নিজের মূত্র।
advertisement
মারাই যেতেন আলেকজান্ডার যদি না ওই গুহার পাশ দিয়ে এক দল শিকারি ও শিকারি কুকুর না যেত! একটি গুহার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাতই কুকুরগুলি ঢুকে পড়ে গুহার মধ্যে। পেছন পেছন শিকারিরাও। আর সেখানে ঢুকেই তাঁরা দেখতে পান, গুহার মধ্যে রয়েছে একটি মমি। তবে ভুল ভাঙতে সময় লাগল না। চোখ খুলে গেল 'মমির'। সঙ্গে বললেন নিজের নামও। সেইসঙ্গে সামনে এল এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা। শিকারিরা বুঝলেন, মমি নয়, গুহার মধ্যে দীর্ঘদিন অনাহারে প্রায় কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে এই মানুষটির শরীর। তবে তিনি এখনও বেঁচে। তারাই উদ্ধার করে ওই জীবন্ত মমিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি এখন ভাইরাল।