সূত্রের খবর, ফ্লোরিডায় নিজের Mar-a-Lago রিসর্ট থেকেই রাশিয়ার রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে ইউরোপে মার্কিন সেনার উপস্থিতির কথা পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইউরোপীয় মহাদেশে শান্তির লক্ষ্য নিয়েও আলাপ-আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।
সেখানেই ইউক্রেনের যুদ্ধের দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে আলোচনা করতে আরও আলোচনা-বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ইউক্রেনের যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ট্রাম্প ব্যক্তিগত ভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাশিয়াকে কিছু অঞ্চল নিজেদের দখলে রাখতে দেওয়ার যে চুক্তি, সেটাকে সমর্থন করবেন ট্রাম্প।
advertisement
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি-সহ প্রায় ৭০টি দেশের নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। আবার একটি ফোন কলে টেসলার সিইও ইলন মাস্কও যোগ দিয়েছিলেন।
ওই ফোন কলের সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের আধিকারিকরা অবশ্য পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের কথা হওয়ার বিষয়ে জানতেন এবং সেই আলাপ-আলোচনার বিষয়ে অবশ্য তাঁদের কোনও আপত্তি ছিল না।
যদিও এই কথোপকথনেও বরফ গলেনি৷ এরপরও রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই একে অপরের মাটিতে ড্রোন হামলা জারি রেখেছে। রাশিয়া ইউক্রেনে ১৪৫টি ড্রোন ছুঁড়েছে। আবার রবিবার মস্কোকে লক্ষ্য করে ৩৪টি পাল্টা ড্রোন ছুঁড়েছে ইউক্রেন।
রবিবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের আগে কিয়েভের জন্য হাউজ ইউক্রেনের জন্য অবশিষ্ট ৬ বিলিয়ন ডলার ফান্ড ব্যয় করার কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ কিয়েভে মার্কিন সমর্থন বন্ধ করা ঝুঁকিপ্রবণ কি না সে নিয়ে আলোচনা করা হবে৷
এইদিকে রবিবার ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থানে ইতিবাচক সঙ্কেত দেখছে তাঁরা।
এদিকে মার্কিন নির্বাচনে হ্যারিসকে সমর্থন করার কথা জনসমক্ষে দাবি করেছিলেন ক্রেমলিন।