সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই পাক সেনার প্রায় ১০০ জন অফিসার এবং ৫০০ জন জওয়ান ইস্তফা দিয়েছেন৷ ইস্তফার কারণ হিসেবে মানসিক চাপ এবং অসুস্থতার মতো কারণ দেখিয়েছেন তাঁরা৷
মুনিরের বিরুদ্ধে যাঁরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্নেল, মেজর, ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ জওয়ানরাও৷ ভারত- পাক সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১১ নম্বর কোরের লেফট্যান্যান্ট জেনারেল উমর আহমেদ বুখারির পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে লেখা চিঠি থেকেই সেনার আধিকারিক এবং জওয়ানদের ইস্তফার এই ঘটনা সামনে এসেছে৷ জেনারেল বুখারির লেখা ওই চিঠি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে৷
advertisement
সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে ফের যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, এই আশঙ্কায় এমনিতেই চাপে রয়েছে পাক সেনার অফিসার এবং জওয়ানরা৷ এই পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান মুনির বাহিনীর মনোবল বাড়াতে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি৷ উল্ট বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু অফিসার এবং জওয়ানকে সেনার এক কোর থেকে অন্য কোরে ট্রান্সফার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ৷ এতে পাক সেনার মধ্যে অসন্তোষ এবং চাপ আরও বাড়ছে৷
গত সপ্তাহে পহেলগাঁও হামলার পরই পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কোয়েটা এবং বালুচিস্তানে মোতায়েন করা ১২ নম্বর কোর সহ অন্য কয়েকটি কোরের বেশ কিছু অফিসার এবং জওয়ানদের ১১ নম্বর কোরে দ্রুত রিপোর্ট করার নির্দেশ দেয়৷ এই ১১ নম্বর কোরের কম্যান্ডার জেনারেল বুখারি৷ ভারত সীমান্তে নিরাপত্তার প্রাথমিক দায়িত্বভার তাঁর অধীনেই রয়েছে৷ গত শনিবার, ২৬ এপ্রিল অন্যান্য কোর থেকে কত জন জওয়ান এবং আধিকারিক ১১ নম্বর কোরে যোগ দিয়েছেন, তার হিসেব করেন কম্যান্ডার বুখারি৷ তখনই তিনি জানতে পারেন প্রায় ১০০ জন আধিকারিক এবং ৫০০ জন সেনা জওয়ান ইস্তফা দিয়েছেন৷ ফলে, ১১ নম্বর কোরের শক্তি কমেছে৷
ইস্তফার কারণ হিসেবে পদত্যাগী সেনা জওয়ান এবং কর্তারা বার বার কম্যান্ডারদের নির্দেশ বদল, মানসিক চাপ এবং পরিবারের উপরে বাড়তে থাকা চাপের কথা উল্লেখ করেছেন৷ আচমকা এই গণ পদত্যাগের জেরে ভারত সীমান্তে এখন পর্যাপ্ত সংখ্যক জওয়ান এবং অফিসার মোতায়েন করতে গিয়েই বিপাকে পড়েছে ১১ নম্বর কোর৷
এই পরিস্থিতির কথা সেনাপ্রধান মুনিরকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কম্যান্ডার বুখারি৷ এর জবাবে পাল্টা বুখারিকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷ এই ধরনের গণইস্তফা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে৷ যে আধিকারিক এবং জওনারা ইস্তফা দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে৷ সবমিলিয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় টালমাটাল পাক সেনা কীভাবে ভারতের প্রত্যাঘাত সামলাবে, তা নিয়েই পাক সেনা কর্তাদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে৷