Phys.org-এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সমীক্ষার লেখক ও ডিপার্টমেন্ট অফ আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটরি সায়েন্সের (Department of Earth and Planetary Sciences) গবেষক কেইটলিন লোফটাস (Kaitlyn Loftus) জানান, ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ও বাসস্থান সম্পর্কে বুঝতে মেঘ ও বৃষ্টির চক্র বোঝাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি মেঘ ও বৃষ্টির চক্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, তাহলে জলবায়ু, আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত সম্পর্কেও একাধিক তথ্য পাওয়া যাবে। একই ভাবে জীবের বাসস্থানের জন্য কোনও অনুকূল পরিবেশ রয়েছে কি না, তা বোঝা যাবে। এর জেরে প্রাণের সন্ধানে নতুন গবেষণার দরজা খুলে যাবে।
advertisement
কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটা থেকে কী ভাবে জীবের অনুকূল বাসস্থানের অনুমান করা সম্ভব? গবেষকদের বক্তব্য, এক্ষেত্রে প্রথমেই বৃষ্টির ফোঁটার আচরণগত দিকটি বুঝতে হবে। দেখতে হবে ভিন গ্রহের ভূপৃষ্ঠে বৃষ্টি পড়ার ধরন কেমন? এই বৃষ্টি ফোঁটাগুলি আয়তনে বড় না ছোট? বাষ্প থেকে ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাতের এই পুরো চক্রে ঠিক কী কী পরিবর্তন ঘটছে, সেই বিষয়গুলিতেও জোর দিতে হবে। এর পর নজর দিতে হবে বৃষ্টি ফোঁটার মধ্যে উপস্থিত উপাদানের উপরে। শুধুই জল না কি আয়রন বা ওই ধরনের কোনও যৌগ মিশে আছে, সেটি দেখতে হবে। বৃষ্টির ফোঁটার মধ্যে মিথেন বা অন্য কোনও তরল আছে না কি, সেই বিষয়টিতেও নজর দিতে হবে।
এক্ষেত্রে মূলত তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন গবেষকরা। বৃষ্টির ফোঁটার আকার-আয়তন, বৃষ্টিপাতের গতি এবং বাষ্পীভবনের প্রক্রিয়া। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, গ্রহ ভেদে বৃষ্টির ফোঁটার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে মেঘ অর্থাৎ মডিউল ক্লাউড সাইকেল নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা বাকি। যা অন্যান্য গ্রহের বাসস্থানের উপযোগী জায়গা বুঝতে সাহায্য করবে। আমাদের সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো কোনও পরিবেশ আছে কি না সেটা বুঝতে সাহায্য করবে। আপাতত মহাকাশ বিজ্ঞানের এক নতুন দিগন্তের সন্ধানে গবেষণা জারি রয়েছে।